বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বাড়ির আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় বিয়ে ঠিক হয়ে যায় মঞ্জরির। সেটা ২০১৬ সালের ঘটনা। বর্ধমানে ধাত্রীগ্রামে বিয়ে ঠিক হয় তাঁর। বাবা মোটর ভ্যান চালিয়েই সংসার চালান। কিন্তু পড়াশুনা করতে চায় মঞ্জরি। তবে তাঁর বাবার নিদান ছিল, আগে বিয়ে করতে হবে। তাঁর দাদার এক বন্ধু বাল্য বিবাহ ঠেকাতে কাজ করে সে কথা জানা ছিল মঞ্জরির। ফোন নম্বর জোগাড় করে মঞ্জরি তাঁকে ফোন করেন। এরপর তাঁর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। বাবার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ হলেও সে যাত্রায় আর বিয়ে করতে হয়নি তাঁকে। সরকারি চাকরি করার স্বপ্নে নিজেই বেশ কিছু টিউশনি জোগাড় করে পড়াশুনা চালিয়ে যান। কলেজে উঠে মঞ্জরি দেখেন পড়াশুনার খরচ বিস্তর। হাতের কাজ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে রানাঘাট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মঞ্জরি। নিজের পড়াশুনার খরচ সামলেও বাল্য বিবাহ ঠেকাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মঞ্জরি বলেন, পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি জানি। খুব ভালো লাগছে। আমি সেই সময়টায় অনেক লড়াই করেছি। বাবার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়, আমি কোনও ভুল করিনি। এখন আমি বিয়ে আটকাতে অনেক সময়ই প্রশাসনের দলে থেকেছি। কিংবা অনেক কর্মশালাতেও যোগ দিয়েছি।
ব্লক লেভেল চাইল্ড প্রোটেকশন কমিটি’র চেয়ারপার্সন অনিন্দ্য সুন্দর দে বলেন, মঞ্জরি আমাকে ফোন করেছিল। প্রথমে ওর বাবাকে বিষয়টি বুঝিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। পরে পুলিসের সাহায্য নিয়ে ওর বিয়ে আটকাতে হয়। এখন নিজেই নিজের পড়াশুনা চালায়। সঙ্গে বাল্য বিবাহ আটকাতে আমাদের সঙ্গে কাজও করে। ও একপ্রকার দৃষ্টান্ত গড়েছে। ও এই পুরস্কারের যোগ্য।