বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
রবিবার রাতে পানপুর মোড়ের কাছে গুলিবিদ্ধ হন বেসরকারি নার্সিংহোম কর্মী বিভূতি ঘোষ (৫১)। তাঁর বাড়ি কুতুবপুরে। খুব কাছ থেকে তাঁর পেটে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পেটের মধ্যে গুলিটি ছিল। তা অপারেশন করে বের করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য মৃত্যু হয়েছে বিভূতিবাবুর।
সোমবার মৃতের পরিবার দাবি করেছিল, ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ার কারণে গুলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিভূতিবাবুর মৃত্যুর পর ছিনতাইয়ের তত্ত্ব আনছেন না তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক আগে এক লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা দামে একটি বাইক কিনেছিলেন বিভূতিবাবু।
রবিবার বিকেলের মধ্যে কর্মস্থল থেকে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। সন্ধ্যায় বাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাতে তিন যুবক বাইক নিয়ে তাঁকে তাড়া করেছিল। পা দিয়ে ধাক্কা মেরে বাইক থেকে ফেলে দেয় তাঁকে। তারপর দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি বাধে। দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপরেই খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। তারপর দুষ্কৃতীরা মোবাইল দুটি ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই বিভূতিবাবু ছেলেকে ফোন করেছিলেন। মৃতের দাদা প্রদীপ ঘোষ বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম ছিনতাইয়ের জন্য ভাইকে গুলি করা হয়েছে। কিন্তু তা নয়। ভাইয়ের গলার সোনার চেন, মানিব্যাগে থাকা টাকা, মোবাইল কিছুই নিয়ে যায়নি দুষ্কৃতীরা। ভাইকে খুন করার জন্যই দুষ্কৃতীরা তাড়া করেছিল। ভাই কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। কেন খুন করা হল, বুঝতে পারছি না।
মৃতের স্ত্রী তনুশ্রী ঘোষ বলেন, আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। আমার ছেলেকে অনাথ করে দিল ওরা। যারা খুন করেছে, তাদের আমি মৃত্যুদণ্ড চাই। আমার স্বামীর সঙ্গে কারও গণ্ডগোল ছিল না। পাড়ার সকলেই তাকে ভালবাসত। ভাটপাড়া থানার পুলিস তদন্তে নেমে মৃত নার্সিংহোম কর্মীর মোবাইল দুটি থানায় নিয়ে এসেছে। মোবাইলের কললিস্ট ধরে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস। তবে খুনের কারণ নিয়ে এখনও পুলিস অন্ধকারে। কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের বেসরকারি নার্সিংহোমের ল্যাব টেকনিসিয়ান ছিলেন বিভূতিবাবু। ল্যাব সংক্রান্ত কোনও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন কি না, তার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস। দ্বিতীয়ত, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন কি না, তাও পুলিস খতিয়ে দেখছে।