বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
প্রায় ১২ বছর আগে বালুরঘাটের মঙ্গলপুর এলাকার বাসিন্দা রুমা দাসের সঙ্গে করণদিঘির কিসমত গ্রামের বাসিন্দা মনেষ দাসের বিয়ে হয়। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। মনেষ আলতাপুর মোড়ে একটি স্টেশনারি দোকান করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে মনেষের বাবা আমিন দাস, মা বিমলা দাস বাড়িতে ছিলেন না। মৃতের তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রটি মামার বাড়িতে ছিল। ছয় বছর বয়সের দ্বিতীয় ছেলে ও তিন বছরের মেয়ে বাড়িতেই ছিল। অভিযোগ, এই দুই ছেলেমেয়ের সামনেই মনেষ স্ত্রীকে টেনে ঘর থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে বাড়ির সামনে ধারালো চপার দিয়ে কোপাতে থাকে। সেই দৃশ্য দেখার পর থেকে ওই দুই শিশুর চোখেমুখের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। মৃতের দাদা জনার্দন সরকার বলেন, বোনকে মিথ্যে সন্দেহের বশে ভগ্নিপতি নৃশংসভাবে খুন করেছে। শরীরের কোনও অঙ্গ কোপাতে বাদ দেয়নি। বোনের ছোট দুই ছেলেমেয়েকেও নিজের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। ওরা শুধু বলছে বাবা মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এই ঘটনা মেনে নিতে পারছি না। করণদিঘি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করব।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পদ্ম সিংহ বলেন, ওই গৃহবধূ খুবই ভালো স্বভাবের। আমি খবর পেয়ে ওখানে গিয়েছিলাম। রাত আড়াইটে নাগাদ জখম গৃহবধূকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের স্বামীকে আমরা আটক করে করণদিঘি থানায় খবর দিই। পুলিস তাকে নিয়ে গিয়েছে। এদিকে আটক মনেষের মামি শীলাহিনী দাস বলেন, কেন ভাগ্নে ওর স্ত্রীকে এভাবে খুন করল সেটা বুঝে উঠতে পারছি না।