বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
কারা দপ্তরের এক সূত্র বলছে, বউবাজার বিস্ফোরণ মামলায় টাডা আইনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহম্মদ খালিদের মতো গোটা রাজ্য থেকে মোট ৩২ জন আসামি মুক্ত কারাগারে যাওয়ার আবেদন করেছিল। যার মধ্যে কলকাতারই ১২ জন। বাকিরা রাজ্য পুলিস এলাকার।
সাধারণত, ১৪ বছরের বেশি সময় জেলবন্দি থাকার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা কারা দপ্তরের কাছে এমন আবেদন পাঠাতে পারে। কারা দপ্তর সেই আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট পুলিস প্রশাসনের কাছে বিবেচনার জন্য পাঠায়। আসামির অতীত ইতিহাস, মামলার প্রকৃতি, সংশ্লিষ্ট আসামির বর্তমান বয়স, জেলে আচরণ—এসব শর্ত খুঁটিয়ে দেখে পুলিস-প্রশাসন আপত্তি না জানালে কারা দপ্তর ওই বন্দিকে মুক্ত কারাগারে পাঠানোর অনুমতি দেয়। রাজ্যে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ, মেদিনীপুর ও বর্ধমানে মুক্ত কারাগার রয়েছে।
কেন খারিজ হল খালিদ, বাচ্চা রাজুদের আবেদন? লালবাজারের এক সূত্র জানাচ্ছে, এই আবেদন বিবেচনার সময় পুলিস কারা দপ্তরের তৈরি করে দেওয়া একটি নির্দেশিকা সামনে রাখে। যার অন্যতম শর্ত হল, টাডার মতো বিশেষ আইনে সাজা খাটা কোনও বন্দিকে মুক্ত কারাগারে পাঠানো যাবে না। পাশাপাশি, বিস্ফোরক আইন, অস্ত্র আইনে সাজা হয়েছে, এমন জেলবন্দিকেও মুক্ত কারাগারে পাঠানো যাবে না। আবার জেল পালানোর রেকর্ড থাকলে সেই বন্দির আর্জি মঞ্জুর করা যাবে না। ফলে খুব স্বাভাবিক নিয়মেই বউবাজার বিস্ফোরণ মামলার আসামি মহম্মদ খালিদের নাম বিবেচিত হয়নি।
১৯৮৬ সালের ৫ নভেম্বর বউবাজারে নৃশংসভাবে খুন হন ঊনত্রিশ বছরের ব্যবসায়ী মহেশ আগরওয়াল। তাঁকে অপরহণ করে প্রকাশ্য রাস্তায় পিটিয়ে খুন করেন মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তৎকালীন সচিব মীর মহম্মদ ওমর ও সাজিদ আলিরা। খুন ও অপরহণের দায়ে এই মামলায় ওমর সহ ছ’জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। ওমর পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। ওমরের সঙ্গী সাজিদের আবেদন খারিজ করেছে লালবাজার। কারণ, মূল অভিযুক্ত ওমর বেপাত্তা। সাজা হওয়ার পরও দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিল সাজিদ। এই রেকর্ড তার বিরুদ্ধে গিয়েছে। পাশাপাশি, নিউ মার্কেটের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা খাটছে বাচ্চা রাজু। মূলত, পেশাদার অপরাধী, অস্ত্র আইনে সাজা হয়েছে—এই যুক্তিতেই কলকাতা পুলিস মুক্ত কারাগারে পাঠাতে আপত্তি জানিয়েছে তাকে।
২০১৫ সালে স্টেট সেন্টেন্স রিভিউ বোর্ড বউবাজার বিস্ফোরণ মামলায় টাডা আইনে যাবজ্জীবন সাজা খাটা রশিদ খানকে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। সেবার সংবাদমাধ্যমে সেই খবর ফাঁস হতেই পিছিয়ে আসে কারা দপ্তর।