কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনেও কাঁটার মতো লেগে আছে শাসকদলের চিরাচরিত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যখন গোলাম রব্বানি, কানাইয়া আগরওয়াল, অসীম ঘোষরা মাটি কামড়ে এলাকায় প্রচার করছেন, তখন প্রাক্তন জেলা সভাপতি অমল আচার্য সহ তার অনুগামী অনেকেরই দেখা নেই। এমনকি দল তপন দেব সিংহকে প্রার্থী ঘোষণা করলেও প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রভাবশালী এক নেতাকে প্রচারে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। টিকিট না পাওয়া নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ সহ নিষ্ক্রিয় নেতাদের গতিবিধির উপরও নজর রাখছে টিম পিকে। তারা পুরো ঘটনাপ্রবাহ রাজ্য টিএমসির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেন, টিম পিকে আমাদের প্রার্থীর প্রচারে সবরকমভাবে সহযোগিতা করছেন। আমরা ভোটারদের কাছে গিয়ে ভালো সাড়া পাচ্ছি। এবারে কালিয়াগঞ্জে ফল ভালো হবে।
টিম পিকে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার ২৭০টি বুথেই নজর রাখছে। দলের জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে, অনেক বুথে ছোট খাটো কিছু সমস্যা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ ছিল। সেটা স্থানীয় নেতৃত্বের নজরে না এলেও ওই টিমের নজর এড়ায়নি। সেখানে জেলা নেতৃত্ব গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মিটিয়েছেন। দলের স্থানীয় কিছু নেতাদের নিয়ে ভোটারদের মধ্যে বিরক্তি রয়েছে, সেই সকল নেতাদের চিহ্নিত করে তাদেরকে প্রচারে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে টিম পিকে। দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতৃত্বকে সামনে এনে তারা লোকসভা ভোটের ড্যামেজ কন্ট্রোল অনেকটাই করে ফেলেছে বলে তৃণমূলের দাবি। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে দলের অনেকেই চেয়েছিলেন, নায়ক নায়িকাদের এনে রোড শো করে প্রচার হোক। কিন্তু এক্ষেত্রে ভোটে খুব একটা প্রভাব পড়ে না বলেই এধরনের প্রচারে টিম পিকে সবুজ সংকেত দেয়নি। তারা প্রতিদিন দলের ভোট ম্যানেজারদের নিয়ে একঘণ্টা করে বৈঠক করে ২৭০টি বুথের কোথায় কী করা দরকার তা বাতলে দিচ্ছে। কাউকে কোনওভাবে প্রভাবিত করা নয়, অনুরোধ আবেদন নিবেদন করে জোড়াফুলে ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করার পরামর্শ দিয়েছে। কোনও গোলমাল না করে মানুষের মনজয় করে জোড়াফুল ফোটানোর টিপসও তারা দিয়েছে। কালিয়াগঞ্জে টিম পিকের পরামর্শে শাসক শিবিবের ভোট ম্যানেজারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাদের বিশ্বাস, উপনির্বাচনে তারা ঘুরে দাঁড়াবেই।