কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে পুরসভার নানা অচলাবস্থা নিয়ে চেয়ারম্যানকে সিআইসি’র সদস্যরা চেপে ধরেন। চাপে পড়ে চেয়ারম্যান বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব কাউন্সিলারদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়ার কথা এদিন ঘোষণা করেন। পুরসভার ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের ফলে নাগরিক পরিষেবার উন্নতি হবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।
বাবলাবাবু বলেন, পুজোর আগে শহর জলমগ্ন হয়। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য আমার ওয়ার্ডের প্রান্তপল্লি, সুভাষপল্লি এলাকায় এখনও জল জমে রয়েছে। ফলে মশার উপদ্রব বাড়ছে। নিকাশির পাশাপাশি জঞ্জাল সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। নানা জটিলতায় পুরসভায় সুষ্ঠুভাবে কোনও কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না। চেয়ারম্যানকে এই ডামাডোল মেটানোর জন্য আমরা বলেছি। তা না মিটলে ভবিষ্যতে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।
নীহারবাবু বলেন, এদিনের বৈঠকে পুরসভার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিআইসি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শীতের মধ্যেই নিকাশি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পুরসভার ১৪টি দপ্তরের দায়িত্ব সিআইসি সদস্য এবং কাউন্সিলারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। কয়েকজন কাউন্সিলার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। তাঁদের মধ্যে আমরা দায়িত্ব ভাগ করে দেব। ফলে পুরসভার সমস্য অনেকটাই মিটবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিআইসি সদস্য বলেন, বিগত দিনে রূপায়িত একাধিক প্রকল্পের ব্যাপারে এদিন চেয়ারম্যানের কাছে আমরা জানতে চাই। কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর পরে জানাবেন বলে চেয়ারম্যান আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। ওইসব প্রশ্নের উত্তর না পেলে আগামী দিনে বোর্ড মিটিংয়ের ফের চেয়ারম্যানকে আমরা চেপে ধরব।
উল্লেখ্য, ইংলিশবাজার পুরসভায় বেশ কয়েকমাস পর চেয়ারম্যান এদিন সিআইসি’র বৈঠক ডাকেন। এদিনের বৈঠকে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের পাশাপাশি চারজন সিআইসি সদস্য যোগ দেন। দুপুর আড়াইটা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ওই বৈঠক চলে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে ভাইস চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য সিআইসি সদস্যদের প্রশ্নবাণে চেয়ারম্যান নাজেহাল হয়ে পড়েন। কেন এতদিন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়নি তা নিয়ে নীহারবাবুর কাছে রীতিমতো জবাবদিহি চাওয়া হয়। যদিও বৈঠক শেষে বাইরে বের হওয়ার পর ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়া বাকি চার সদস্য বিশেষ কিছু বলতে চাননি।
কাউন্সিলার তথা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, নীহারবাবুর সক্রিয় বিরোধিতা করছেন এমন কাউন্সিলাররা বোর্ড মিটিংয়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। বোর্ড মিটিংয়ে বিক্ষুব্ধদের সামাল দিতে চেয়ারম্যানকে হিমশিম খেতে হবে। এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে বোর্ড মিটিং না হওয়ায় ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে। দলের চাপে আস্থা ভোট স্থগিত হলেও বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। বোর্ড মিটিংয়ে সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ হতে পারে।