সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মস্তিষ্কে চিপ বসানোর আলোচনা পাড়ার ঠেক, চায়ের আড্ডা বা ট্রেনে-বাসে রঙ্গ-রসিকতার ছলেই হয়ে আসছিল দীর্ঘদিন। রোগ সারাতে মাস্কের কোম্পানি নিউরালিঙ্ককে মানুষের মাথায় এমন কম্পিউটার চিপ (ব্রেন ইমপ্লান্ট) বসাতেই অনুমতি দিয়েছে এফডিএ। আর তা দেওয়াও হয়েছে এমন একটা সময়, যখন আমেরিকার কৃষিমন্ত্রক মাস্কের কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে। অভিযোগ, পশুপাখির অধিকার সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করেছে তারা।
বরাবরই নিজের অভিনব চিন্তাভাবনা এবং শিল্পোদ্যোগের জন্য হাততালি এবং সমালোচনা—দুই-ই বিস্তর কামিয়েছেন মাস্ক। মানুষের মাথায় চিপ বসাতে নিজের আগ্রহের কথা তিনি প্রথম জানান ২০১৯ সালে। নিউরালিঙ্ক অবশ্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য এফডিএর কাছে অনুমতি চায় ২০২২ সালে। তিন যুক্তি দেখিয়ে প্রথমে খারিজ করা হয় সেই আবেদন। শেষমেশ অনুমতি পেল তারা।
এই ধরনের উদ্যোগকে ‘যুগান্তকারী’ বলে জানিয়েছেন খ্যাতনামা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ বিআইএন-এর অধ্যাপক ডাঃ বিমানকান্তি রায়। বলেন, যদি সত্যিই এটি করতে পারেন মাস্ক, অন্ধত্ব এবং পক্ষাঘাতের উত্তর মিলতে পারে। দুই, যাঁদের কিছুটা কিছুটা এই সমস্যা আছে, মস্তিষ্কের সুনির্দিষ্ট অংশকে স্টিমুলেট করে তাঁদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো যেতেও পারে। নিউরোলজিস্টরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোবের মোটর হোমানকুলাস নামের অংশ মানুষের হাত-পা নাড়ানোর কাজটি প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু সেই কাজে মস্তিষ্কের আরও অজস্র জায়গা সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। চিপ যদিও বা হোমানকুলাসকে সক্রিয় করার কাজ করে, মস্তিষ্কের বাকি অংশকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে? উঠেছে এইসব প্রশ্ন। সাবধানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে এই চিপ ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ হয়ে উঠবে না তো!