ইসলামাবাদ: আমেরিকায় ৯/১১ হামলার মূল চক্রী সে। আল কায়েদার সুপ্রিমো। সেই ওসামা বিন লাদেনকেই কি না ‘শহিদ’ আখ্যা দিয়ে বসলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া, জঙ্গিদের অর্থ জোগানোর মতো মারাত্মক অভিযোগে এমনিতেই জেরবার পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নিহত জঙ্গিনেতাকে ‘শহিদ’ আখ্যা দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক ছড়িয়েছে।
পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলি ইমরানের উদ্দেশে তোপ দেগে বলেছে, একজন আন্তর্জাতিক জঙ্গিকে শহিদ হিসেবে উল্লেখ করে দেশেরই মুখ পুড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এমন মন্তব্য করে সন্ত্রাসের প্রতি তোষণ নীতিকেই প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন ইমরান। সেনেটর মুস্তাফা নওয়াজ আরও একধাপ এগিয়ে ইমরানকে ‘তালিবান খান’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন সেনা যখন অ্যাবটাবাদে ঢুকে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করল, তাঁকে শহিদ করল, তখন সমগ্র বিশ্বে পাকিস্তানিরা খুবই বিব্রত বোধ করেছিল।’ ইমরানের কথা শেষ হতে না হতেই সমালোচনায় সরব হন বিরোধী দলনেতা খোয়াজা আসিফ। তিনি বলেন, ‘ওসামা বিন লাদেন একজন সন্ত্রাসবাদী। হাজার হাজার মানুষের হত্যাকারী। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশকেও ধ্বংস করেছে লাদেন। আজ তাকেই প্রধানমন্ত্রী শহিদ বলছেন।’ ট্যুইটারে ইমরানের সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও। তিনি লিখেছেন, ‘লাদেনকে শহিদ বলে সন্ত্রাসের প্রতি তোষণ নীতিকে সমর্থন করলেন ইমরান খান। ইমরানের আমলেই পেশোয়ারেaর সেনা স্কুলের হামলাকারীরা জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছে। ড্যানিয়েল পার্লের হত্যায় জড়িতরা রেহাই পেয়েছে।’
তবে এবারই প্রথম নয়। ওসামার প্রতি ‘অনুরাগ’ আগেও প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে ইমরানকে। প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসার আগে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে লাদেনকে ‘জঙ্গি’ বলতে অস্বীকার করেছিলেন ইমরান। যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিটিশ সরকারের কাছে জঙ্গি ছিলেন। কিন্তু, বাকিদের কাছে ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী।