বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
দূষণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। ইতিমধ্যে সারা পৃথিবীতে হিমবাহ মুছে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রেসেনার ছবিটাও একই। ১৯৯৩ সাল থেকে এখানে বরফ গলতে শুরু করেছে। মুছে গিয়েছে এক তৃতীয়াংশেরও বেশি হিমবাহ। অবশিষ্ট বরফের চাদরকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন একদল পরিবেশবিদ। অনেক ভাবনাচিন্তার পর বিস্তৃত হিমবাহকে জিওটেক্সটাইল ত্রিপল দিয়ে মুড়ে দেওয়ার কথা তাঁদের মাথায় আসে। সেক্ষেত্রে গ্রীষ্মের প্রখর সূর্যরশ্মি সরাসরি বরফের উপর এসে পড়বে না। ত্রিপলের গায়ে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাবে। আর নীচের বরফের চাদর থাকবে ঠাণ্ডা। কমবে গলন।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। ২০০৮ সালে আরম্ভ হয় ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। ৩০ হাজার বর্গমিটার হিমবাহ ঢাকতে বিশেষ ত্রিপল আসে। যার এক-একটির দাম প্রায় ৪০০ ডলার। আর্থিক সাহায্য দিয়ে পাশে দাঁড়ায় একাধিক বাণিজ্যিক সংস্থা। ধীরে ধীরে গলন নিয়ন্ত্রণে আসে। বাড়ে আর্থিক অনুদানের পরিমাণও। যার জেরে চলতি বছরে প্রায় ১ লক্ষ বর্গমিটার হিমবাহ ত্রিপলে মোড়ার স্বপ্ন দেখছেন ইতালির পরিবেশবিদরা। গ্রীষ্মের রোদ চওড়া হতেই ছুটেছেন প্রেসেনা। ছ’সপ্তাহ ধরে চলবে অক্লান্ত পরিশ্রম। ত্রিপল বিছানোর পর চাপানো হবে বালির বস্তা। তারপর কয়েক মাস বাদে রোদের আঁচ ফিকে হতেই শুরু হবে তা তোলার কাজ। যা শেষ হতেও ছ’সপ্তাহ লাগবে বলেই জানিয়েছেন আয়োজক সংস্থার অন্যতম প্রতিনিধি ডেভিড পানিজ্জা। এই বিপুল কর্মকাণ্ড শেষের অনুভূতিটা ঠিক কীরকম? মৃদু হেসে পানিজ্জার জবাব, ‘সেপ্টেম্বর মাসে ত্রিপল গোটানোর সময় যখন দেখতে পাই আমরা সফল হয়েছি, আটকানো গিয়েছে বরফের গলন, তখন সকলে গর্ব অনুভব করি।’ কিন্তু এই কাজও যথেষ্ট নয়। পানিজ্জা ও তাঁর সহযোদ্ধারা সেই সুদিনের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। যেদিন দূষণ-উষ্ণায়ন কমে যাবে। আর ত্রিপল বিছানোর দরকার পড়বে না। ছুটে যেতে হবে না প্রেসেনায়।