সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
রাজ পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী নোটিস বোর্ডে সন্তান জন্মের খবর প্রাসাদের বাইরে টাঙিয়ে দেওয়া হয়। ১৮৩৭ সালে বাকিংহাম প্যালেস রানির স্থায়ী ঠিকানা হওয়ার পর থেকেই এই রীতি চলে আসছে। খুব শীঘ্রই তা করা হবে। কিন্তু, তার আগে এদিন ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রিন্স হ্যারি লেখেন, ‘সকাল সকাল প্রথম সন্তানকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। রাজ পরিবারের আশীর্বাদে পুত্রের ওজন হয়েছে ৩ কেজি ২০০ গ্রাম। ডাচেস ও শিশুপুত্র দু’জনের সুস্থ রয়েছে। এই বিশেষ সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জনগণকে ধন্যবাদ। আগামী দিনে আরও খবর জানানো হবে।’
গত বছর মে মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রানি এলিজাবেথের নাতি হ্যারি (৩৪) এবং আমেরিকায় জন্ম হওয়া প্রাক্তন অভিনেত্রী মার্কেল (৩৭)। রাজ পরিবারের উইন্ডসর ক্যাসেলে মহা ধূমধামে অনুষ্ঠিত হয় তাঁদের বিয়ে। গত বছরের অক্টোবরে মার্কেলের অন্তঃসত্ত্বার খবর ঘোষণা করে কেনসিংটন প্যালেস। জানানো হয় বসন্তে রাজ পরিবারে আসছেন নয়া অতিথি। সেইমতো এদিন পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ডাচেস অব সাসেক্স। সঙ্গে সঙ্গে রানি, ডিউক অব এডিনবরা, প্রিন্স অব ওয়েলস, ডাচেস অব কর্নওয়াল, ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অব কেমব্রিজ সহ রাজ পরিবারের সবাইকে খবরটি দেন হ্যারি। যদিও এখনও প্রপৌত্রের নাম ঠিক করে উঠতে পারেনি বাকিংহাম প্যালেস। মার্কেলের মা ডোরিয়া রেগল্যান্ড দিদা হওয়ার পেয়েই আনন্দে ফেটে পড়েন।
রাজ পরিবারের সদস্য হলেও নিজে থেকে কোনও টাইটেল পাবে না সদ্যোজাত। রানি এলিজাবেথকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি ইস্যু করে ঘোষণা করতে হবে। যেমনটি করা হয়েছিল তার বাবা-মা ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অব সাসেক্স হ্যারি ও মার্কেলের ক্ষেত্রে। এছাড়া বিশ্বের দীর্ঘতম রাজতন্ত্রের সিংহাসনে বসতে গেলে সাত নম্বরে রয়েছে হ্যারি-মার্কেল পুত্র। বাকিরা হলেন, প্রিন্স অব ওয়েলস, ডিউক অব কেমব্রিজ এবং তাঁর তিন সন্তান — প্রিন্স জর্জ, প্রিন্সেস শার্লট এবং প্রিন্স লুই।