উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
মারুতি ওয়াগন-আর। বর-কনের গাড়ির মতো করে ফুলের মালায় সাজানো। চাষের খেতে কবরের মতো করে খোঁড়া দীর্ঘ একটি গর্তে দাঁড়িয়ে সেই গাড়ি। চারপাশে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আমন্ত্রিতরা। কেউ তুলছেন ছবি। কেউ ভিডিওবন্দি করে রাখছেন ‘সমাধি’র আগের সেই অন্তিম মুহূর্ত। গুজরাতের আমরেলি জেলায় গাড়িকে শেষ বিদায় জানানোর ভিডিও চোখ কপালে তোলার মতোই। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অনুষ্ঠান শেষে ১৫ ফুট গভীর গর্তে নামানো হচ্ছে সেই গাড়িকে। আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি হচ্ছে। গাড়ির মালিক সঞ্জয় পালোরা। সুরাতে তাঁর নির্মাণ ব্যবসা। জানালেন, এই গাড়ি কেনার পরই পরিবারে সাফল্য আসতে শুরু করে। সঞ্জয়ের কথায়, ‘প্রায় ১২ বছর আগে গাড়িটি কিনেছিলাম। এই গাড়িই পারিবারে সমৃদ্ধি এনেছে। ব্যবসায় দারুণ লাভ হতে শুরু করে। বাড়ে সামাজিক প্রতিপত্তিও। গাড়িটি আমাদের কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক। তাই বিক্রি না করে শ্রদ্ধা হিসেবে সেটিকে সমাধি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’ অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে পুরোহিত এসে মন্ত্রোচারণ করেন। গাড়ির ‘শেষযাত্রা’য় ছড়িয়ে দেওয়া হয় গোলাপের পাপড়ি। সঙ্গে গরবা নৃত্য। প্রিয় গাড়িকে বিদায় জানানোর এই অনুষ্ঠান স্মরণীয় হয়ে থাকল পালোরা পরিবারের সদস্যদের কাছে। দেড় হাজার আমন্ত্রিতের কাছেও। ছবি সমাজমাধ্যমের সৌজন্যে।