নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ডিএমকে সুপ্রিমো স্ট্যালিনের জন্মদিনে রাহুল গান্ধী শুভেচ্ছা বিনিময় করলেও আসন রফা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। শুরু হয়েছে মতানৈক্যও। দক্ষিণের এই রাজ্যকে এআইডিএমকের হাত থেকে ছিনিয়ে আনার লড়াই রাজনৈতিক মহলে ক্রমশ আগ্রহ বাড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রচারে গিয়ে যেমন বিধানসভায় পদ্মফুলের খাতা খুলতে মরিয়া উদ্যোগ নিচ্ছেন, তেমনি একইভাবে ডিএমকে-কংগ্রেস জোটও যে কোনও মূল্যে ক্ষমতায় আসতে চাইছে। সোমবার কন্যাকুমারিকায় গিয়ে নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে জনসংযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী। মৎস্যজীবীদের সঙ্গে নৌকা মিছিলেও অংশ নিয়েছেন তিনি। তবুও ডিএমকে-কংয়ের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মতের অমিল ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। ২৩৪ আসনের তামিলনাড়ুতে আগামী ৬ এপ্রিল একদফায় ভোটগ্রহণ হবে।
তামিলনাড়ুতে ২০১৬ সালের ভোটে বিজেপির ৯৫.৭ শতাংশ প্রার্থীরই জামানত জব্দ হয়েছিল। ১৮৮টি আসনে প্রার্থী দিয়ে একটিতেও জিততে পারেনি। ১৮০ জনের জামানত জব্দ হয়েছিল। এআইডিএমকে ২৩৪ টিতেই লড়েছিল। ফলাফলে ১৩৫ আসনে জিতে সরকার গড়েছিলেন জয়ললিতা। অন্যদিকে, ডিএমকে ১৮০ টি আসনে লড়ে পেয়েছিল ৮৮ টি আসন। কংগ্রেস ৪১ আসনে লড়ে জিতেছিল মাত্র ৮টিতে। আর সেই হিসেবকে সামনে রেখেই কংগ্রেসকে এবার বেশি আসন ছাড়তে চাইছে না ডিএমকে।
দলের পক্ষ থেকে লোকসভার এমপি প্রয়াত করুণানিধির কন্যা কানিমোঝি কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কথাবার্তা চালাচ্ছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই দলের মধ্যে আলোচনায় আসন রফা নিয়ে জোর দড়ি টানাটানি চলছে। কংগ্রেসকে ২৫ থেকে ৩০ টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ ডিএমকে। কিন্তু কংগ্রেস এতে রাজি নয়। তাদের দাবি কমপক্ষে ৪০। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক মতানৈক্য।
কম আসন ছাড়তে চাওয়ার যুক্তি দিতে ডিএমকে নেতৃত্ব কংগ্রেসের সামনে টানছে বিহারের নির্বাচন প্রসঙ্গ। বিহারে আরজেডি জোটে কংগ্রেস লড়লেও ভালো ফল করতে পারেনি। লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী ভোটের ফল দেখে বলেই ফেলেছিলেন, কংগ্রেসকে অত আসন না ছাড়লে ক্ষমতায় ফেরা সহজ হত। ২০২০ সালের শেষ দিকে বিহারের ভোটে কংগ্রেস ৭০ আসনে লড়ে জিতেছিল মাত্র ১৯টিতে। আরজেডি ৭৫ আসনে জিতে হয়েছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। ১৪৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল আরজেডি।