কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন নাজার। ওমপোরা স্টেশনের কাছে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। হামলার পরই পুলিস, সেনা ও আধাসেনা ওই এলাকায় পৌঁছয়। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। এর আগে গত ৪ আগস্ট কুলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় জখম হন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য আরিফ আহমেদ। এরপর ৬ আগস্ট ফের কুলগাঁওয়ে হামলা চলে। জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান সাজাদ আহমেদ খাণ্ডে। এবার বদগাঁওয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন ওবিসি মোর্চার জেলা সভাপতি। এদিন নাজারের উপর এই হামলার নিন্দা করেন বিজেপি মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর। তিনি বলেন, এই হামলা বর্বরোচিত ও অমানবিক। উপত্যকায় নিরস্ত্র মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। সুর চড়িয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর বিজেপির সভাপতি রবীন্দ্র রায়নাও। তিনি বলেন, দলীয় কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা যেভাবে বাড়ছে, তাতে পাকিস্তানের হতাশা ফুটে উঠছে। হামলা চালিয়ে বিজেপিকে ভয় দেখানো যাবে না। বরং উপত্যকায় দলের কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে। প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যাবেন আমাদের কর্মীরা। উপত্যকা জঙ্গিমুক্ত হবেই।
এদিকে, নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে বড়সড় অনুপ্রবেশের ছক ভেস্তে দিল সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দর আনন্দ জানিয়েছেন, পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণঘাঁটি সেক্টর দিয়ে একদল জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। বিষয়টি ভারতীয় সেনার নজরে আসতেই তাদের বাধা দেওয়া হয়। তারপরই এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। গুলির লড়াইয়ে এক অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছে আরও দু’জন। আনন্দ আরও বলেন, জঙ্গিরা যে এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল, পরে সেখানে তল্লাশি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। তাঁরা দেখেন, নিহত জঙ্গির দেহ সেখান থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, দু’টি ম্যাগাজিন ও পাকিস্তানে তৈরি বেশ কিছু প্যাকেটজাত খাবার মিলিছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনায় পাক সরকার যে সরাসরি যুক্ত, এর থেকেই তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। তারাই নাশকতা ছড়াতে প্রশিক্ষিত জঙ্গিদের ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করছে।