অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
চার বন্ধুর একটা দল রয়েছে জেসিনিয়ার। সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ করাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্যে। দক্ষিণ এশিয়া ভ্রমণেও তাঁর সঙ্গী ছিলেন ক্লিফিন জে ফ্রান্সিস, হাসিব আহসান এবং ডোন্না অ্যান জেকব। বাংলাদেশের আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ত্রিপুরায় ঢুকেছিলেন তাঁরা। উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে ১০ দিন কাটিয়ে আগরতলা ফিরে আসেন জেসিনিয়া। সূত্রের খবর, খুব সম্ভবত তিনি দলছুট হয়ে মিজোরামের উদ্দেশে রওনা দেন। সীমান্ত পেরতে গিয়েই বিপাকে পড়েন তিনি। স্বাস্থ্যকর্মীরা জেসিনিয়াকে ফের আগরতলায় ফিরিয়ে এনে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করেন। তাঁর কোভিড-১৯ পরীক্ষাও করা হয়। সেখানেই তিনি জানতে পারেন তাঁর অন্য তিন সঙ্গী টোকিও যাওয়ার পরিকল্পনা করে ত্রিপুরা ছেড়েছেন।
দিল্লিতে ফিরে জেসিনিয়া বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় ঢোকার সময় আমার থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। সর্দ্দি-কাশি কিংবা জ্বরের কোনও উপসর্গ ছিল না। তা সত্বেও আমাকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়। ১৪ দিনের মেয়াদ শেষে আবারও আমাকে অন্য একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও আমাকে ১৪ দিন ঘরবন্দি করে রাখা হয়। কেন আমাকে দু’-দু’বার কোয়ারেন্টাইন করা হল, তা নিয়ে বিস্ময়ের ঘোর কিছুতেই কাটছে না।’
ত্রিপুরা প্রশাসনের একটা অংশের ব্যাখ্যা, ভাষাগত সমস্যার কারণে জেসিনিয়াকে খানিক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কারণ, তিনি স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলেন। ইংরেজিতেও খুব একটা সড়গড় নন। অন্য কোনও ভাষা তো জানেনই না জেসিনিয়া। ফলে তাঁর সমস্যার কথা বুঝতে পুলিস-প্রশাসনকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। পরে অবশ্য জেসিনিয়া মিশনারিজ অব চ্যারিটির এশিয়া সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফাদার পল পদুসেরির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফাদারই প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় গড়ে জেসিনিয়াকে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনতে তৎপর হন। বর্তমানে জেসিনিয়া মিশনারিজ অব চ্যারিটির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।