অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
একজন চিকিৎসকের অন্যতম গুণ হল ‘ক্লিনিক্যাল আই’। তিনি রোগীকে সামনে থেকে পর্যবেক্ষণ করে, প্রয়োজনে হাত দিয়ে পরীক্ষা করে এবং সামনাসামনি কথা বলে অসুখ সম্বন্ধে ধারণা করেন। টেলিমেডিসিনে ভিডিও কলের ওপারে বসে থাকা রোগীর ক্ষেত্রে এই পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ সম্ভব নয়। মোবাইলে কথা বলে বা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে রোগীর উপসর্গগুলি জানা গেলেও, সামনে থেকে রোগীকে পরীক্ষার সুযোগ থাকে না। ফলে চিকিৎসার প্রাথমিক স্তরেই অনেকটা খামতি থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বহু চিকিৎসক।
তবে করোনা পরিস্থিতিতে টেলিমেডিসিন যে কিছুটা হলেও মানুষকে সাহায্য করছে, একথা মানছেন সকলে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ‘ক্লিনিক্যাল আই’ বা স্পর্শের মাধ্যমে চিকিৎসার বিকল্প নেই। তবে এখন অনেকেই চিকিৎসকের কাছে আসার পরিবহণের ব্যবস্থা করতে পারবেন না। সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে বহু রোগীকে একসঙ্গে কাছাকাছি রাখাও যাবে না। অগত্যা টেলিমেডিসিন ছাড়া উপায় কী? অবশ্য সব শারীরিক সমস্যায় কোনওভাবেই টেলিমেডিসিনের উপর নির্ভর করা চলবে না। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ব্লাড সুগার বেড়েছে, বাড়িতে মেপে দেখা গেল প্রেশার বেড়েছে, কয়েকবার পায়খানা হয়েছে ইত্যাদি ক্ষেত্রে টেলিমেডিসিনের সুবিধা নেওয়া সম্ভব। তাছাড়া একজন চিকিৎসক কোনও রোগীকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করলে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্বন্ধে ধারণা তৈরি হয়। তখনও ছোটখাট সমস্যায় টেলিমেডিসিনে পরামর্শ নেওয়া সম্ভব। ফলো-আপ চিকিৎসায়ও এই সুবিধা নেওয়া যেতে পারে। অপরদিকে বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর কমছে না, জটিল শারীরিক লক্ষণ দেখা দিচ্ছে— এমন পরিস্থিতিতে রোগীকে সামনে থেকে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। তখন অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সোজা ভাষায়, সমস্যা ছোটখাট হলে টেলিমেডিসিন চলবে। বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।