প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
কিন্তু এরই মধ্যে একটি খবর নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রাজ্যের ৪৯জন দিনমজুর দক্ষিণের তামিলনাড়ু-তেলেঙ্গানা সীমান্তবর্তী কোনও এক জঙ্গলে গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, ক্যানিং, সন্দেশখালি তল্লাটের বাসিন্দা এই দিনমজুরা কোয়েম্বাটুর থেকে আরও বহু কিলোমিটার দূরে জোগাড়ের কাজ নিয়ে মাসখানেক আগে বাংলা ছেড়েছিলেন এক ঠিকাদারের মাধ্যমে। লকডাউনের ঠিক আগে সেখানে তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। তারপর বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে বাকি ৪৯ জনকে একটি বড় ভ্যানে চাপিয়ে ঘণ্টা ১০-১২ যাওয়ার পর গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর দিন চারেক জঙ্গলে হেঁটে তাঁরা কোনও কূলকিনারা পাচ্ছেন না বলে খবরও পাঠান। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে তাঁদের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের পাশাপাশি গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে প্রত্যাশিতভাবে।
কোয়েম্বাটুরে কাজ করতে যাওয়া এই পরিযায়ী শ্রমিক দলে রয়েছেন বাসন্তীর ন্যাংটাখালির তপন সর্দার। দিন চারেক আগে তপন তাঁর বাড়িতে ফোন করে প্রথম তাঁদের বিপদের কথা জানান। তপনের দাদা জগন্নাথ সে কথা জেনে বিষয়টি স্থানীয় সিপিএম কর্মী ইয়েদ আলিকে জানান। শুক্রবার ইয়েদ আলি বলেন, তপনের সঙ্গে আমি বার দু’য়েক কথা বলি ওর দেওয়া নম্বরে। ওর কথা অনুযায়ী, ওরা যেখানে কাজ করতে গিয়েছিলেন, সেখানে দলের একজন মারা যান। সে করোনা, না অন্য কোনও রোগে মারা গিয়েছেন, তা তপনের কাছে জানার সুযোগ হয়নি। এই মৃত্যুর পর স্থানীয় ঠিকাদার ও আরও কিছু লোকজন ওদের জেল-ভ্যানের মতো পেল্লায় সাইজের একটি চারদিক ঘেরা গাড়িতে তোলে। তার আগে দলের অন্যান্যদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ওরা জমা নিয়ে নেয়। ঘণ্টা ১০-১২ যাওয়ার পর ওরা দেখেন, কোনও গভীর জঙ্গলের মধ্যে সেই ভ্যান এসে পৌঁছেছে। সেখানে বাইরের কিছু লোকের সঙ্গে ভ্যানের চালক সহ অন্যান্যদের কোনও বিষয়ে গোলমাল বাধে। কিন্তু ভ্যানের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ থাকায় তপনরা বেরতে পারেননি। বেশ কয়েক ঘণ্টা ওভাবে থাকার পর বাইরের লোকজন কোথাও চলে গেলে ওরা চালকের আসনের দিকের একটি দরজা ভেঙে সকলে বেরিয়ে আসেন। তারপর শুরু করেন হাঁটা। চারদিন ধরে হাঁটলেও কোনও জনপদের চিহ্ন ওরা দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানান। বিষয়টি আমি আমার দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী ও শমিক লাহিড়িকেও জানাই। ওঁরাও একবার তপনের সঙ্গে কথা বলেন ফোনে। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে তপনের সেই নম্বরে আর কোনও সাড়াশব্দ মিলছে না।
এদিন সুজনবাবু বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ওরা যা লোকেশন বলছেন, সেটা মধুমালাইয়ের জঙ্গল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, তা এখানে বসে বলা সম্ভব নয়। আমি বিষয়টি রাজ্যপাল ও মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। আমরা আমাদের দলীয় স্তরেও খোঁজখবর চালাচ্ছি যাতে ওখানকার পুলিস ও প্রশাসন এনিয়ে উদ্যোগী হয়।