প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
নিজামউদ্দিনের ঘটনায় আতঙ্কিত সকলে। এ রাজ্য থেকে ৭৩ জন দিল্লিতে যান। তারমধ্যে ১৩ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। বাকিদের এখনো খোঁজ নেই। এর জন্য জেলায় জেলায় খোঁজখবর চলছে। যাতে তাঁদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো যায় এবং চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়। এই নিয়ে রাজ্য যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। তবে জেলাস্তরে তাঁদের খোঁজ পেতে রীতিমত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিসকর্মীদের। অধিকাংশ জায়গাতেই বলা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি এখানকার বাসিন্দা নন। কোন কোন ক্ষেত্রে আবার ভুল খবর দিয়ে পুলিসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।
সেই কারণেই প্রথাগত পদ্ধতির পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসাররা। আর এক্ষেত্রে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ও টাওয়ার ডাম-কে হাতিয়ার করতে চাইছেন তাঁরা। এর মাধ্যমে সহজেই নিজামউদ্দিনের ধর্মীয় সভায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা সম্ভব। তাই যে ধর্মস্থানে তাঁদের রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে কোনও ফোন এই রাজ্যে এসেছিল কি না, তা দেখে নিতে চাইছেন গোয়েন্দারা। এই কলগুলি কোন কোন জেলায় গিয়েছে, তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিভিন্ন জেলায় এই সময় যে কলগুলি এসেছে, তার মধ্যে থেকে নিজামউদ্দিন থেকে আসা কলের সংখ্যা কত, তা বের করতে চাইছেন অফিসাররা। এখান থেকেই নিজামউদ্দিনে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্ত করা সম্ভব বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তাদের ব্যাখ্যা, এখান থেকে যাদের কাছে কল গিয়েছে, প্রথমে তাঁদের চিহ্নিত করা হবে। তারপর তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা হবে নিজামউদ্দিন এ যাওয়া ব্যক্তির সঙ্গে তার সম্পর্ক কী এবং সেই ব্যক্তির বর্তমান অবস্থান কোথায়। যার ভিত্তিতে সেখানে হানা দিয়ে তাঁকে খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো যাবে। টাওয়ার ডাম-এর কাজ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয় ধরা পড়ে এবং নিজামউদ্দিন এ যাওয়া ব্যক্তি তথ্য গোপন করে রাজ্যে লুকিয়ে থাকতে না পারেন। বিশেষজ্ঞরা যে তালিকা তৈরি করবেন, তা স্থানীয় থানা বা পুলিস প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ওই তালিকায় তথ্য গোপন করে থাকা ব্যক্তির বাড়ির ঠিকানা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই উল্লেখ থাকবে। এই পদ্ধতিতে একদিকে যেমন তালিকায় থেকেও যাঁদের খোঁজ মিলছে না, তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে, তেমনই তালিকায় না থাকা ব্যক্তি, যাঁদের সম্পর্কে কোন তথ্যই অফিসারদের কাছে নেই, তাদের বিষয়েও সমস্ত কিছু জানা সম্ভব হবে। থানার অফিসার রা ওই ঠিকানায় গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারবেন ওই তথ্যের ভিত্তিতে।
এর সঙ্গেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের ওপরে নজরদারি চালাচ্ছে অফিসাররা। এই সাইটগুলিকে ব্যবহার করে কারা কারা নিজামউদ্দিনের সভা নিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন, বা কারা এই নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন এবং ওই ব্যক্তি নিজামউদ্দিনে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে চ্যাট করেছিলেন কি না, তাও দেখতে চাইছেন তাঁরা। যে ব্যক্তির নামে প্রোফাইল রয়েছে, তাঁকে চিহ্নিত করতে পারলে তথ্য গোপন করে পালিয়ে বেড়ানো নিজামউদ্দিন ফেরত ব্যক্তি খোঁজও মিলবে।