বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল, এনআরসি, এনপিআর, জেএনইউ, জামিয়া পর্বের প্রেক্ষাপটে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বোর্ড পরীক্ষায় বসতে যাওয়া পুড়য়াদের আলাপচারিতার অনুষ্ঠান একটি কাউন্সেলিং প্রোগামে পরিণত হল। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীকে বুলেট প্রুফ গাড়িতে তুলে দিয়ে মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক বললেন, প্রধানমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের তো বটেই, আমাদেরও মন জয় করে নিলেন। সব কিছু ভালোভাবে হল। রাজনৈতিক মহলের মতে, তাঁর এই কথাতেই স্পষ্ট বর্তমান প্রেক্ষাপটে কতটা চাপে ছিল মন্ত্রক। ছাত্র-ছাত্রীদের আগেই বার বার বলে দেওয়া হয়েছিল, স্রেফ পড়াশোনার বিষয়েই প্রশ্ন করতে। তবুও মানসিক চাপে ছিল মন্ত্রক।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, মন দিয়ে পড়াশোনা করো, তবে রোবট হয়ে যেও না। একইসঙ্গে বললেন, দায়িত্বের মধ্যেই নিহিত থাকে অধিকার। তাই দায়িত্বে জোর দাও। ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছরের পাশাপাশি ২০৪৭ সালে দেশের ১০০ বছরের স্বাধীনতা পালনের কথা মাথায় রেখে বিদেশি দ্রব্যের চেয়ে দেশি সামগ্রী কেনার ওপর জোর দেওয়ার অভ্যেস তৈরির নিদান দিলেন মোদি। বললেন, এতে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। দেওয়ালির বাজি কিংবা মাঞ্জাও আজকাল বিদেশ থেকে আসছে।
চন্দ্রায়ন-২-এর উদাহরণ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বললেন, ব্যর্থতায় ভেঙে না পড়ে ফের নতুন উদ্যমে শুরু করতে হয়। ব্যর্থতার মধ্যেই আছে সাফল্যের হদিশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চন্দ্রায়নের সময় দিল্লির অনেকে আমাকে বলেছিলেন, আপনার না যাওয়াই ভালো। সফল হবেই, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু আমি তাঁদের পাল্টা বলেছিলাম, তাহলে তো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আরও বেশি করে সেখানে হাজির হওয়ার প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অভিভাবক এবং শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়েদের উৎসাহ দিন। তাহলেই ওরা সফল হবে। ২০০১ সালে কলকাতায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট ম্যাচে হারতে হারতেও রাহুল দ্রাবিড়-ভি ভি এস লক্ষ্মণের জুটির ধৈর্য কীভাবে দেশকে জিতিয়েছিল, টেনে আনলেন সেই প্রসঙ্গও।
নয়াদিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে ছিল ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠান। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ২ হাজার ২০০ পড়ুয়া নিয়ে ছিল অনুষ্ঠান। পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতেই গত দু’বারের মতো এবারও তাদের পাশে দাঁড়ালেন মোদি। গোড়াতেই ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দিলেন, তোমাদের বন্ধু তোমাদের মধ্যে হাজির। বল কী জানতে চাও? এরপর একে একে কখনও স্টেডিয়ামে মজুত পড়ুয়া, কখনও ভিডিও ফুটেজে নরেন্দ্র মোদির কাছে পড়ুয়ারা মনের মধ্যে থাকা প্রশ্ন করলেন।
হুগলির অনামিকা ভুঁইঞা থেকে কাশ্মীরের করিশ্মা, মায়াঙ্ক নেগির মতো পড়ুয়ারা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পেলেন টেনশন মুক্তির টিপস। তাই গোড়াতেই মোদি যেভাবে নিজেকে বন্ধু পরিচয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে নিজেকে সহজ করে নিয়ে নিয়েছিলেন, সেই অবস্থান বজায় রেখেই অনুষ্ঠান শেষে নিজেদের মোবাইলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফিও তুলতে দেখা গেল পড়ুয়াদের। নরেন্দ্র মোদি বললেন, অনুষ্ঠানের উদ্যোগ সফল।