মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
করোনা সংক্রমণের এই পর্বে সাধারণ মানুষকে আরও সতর্ক থাকতে বারবার আবেদন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাস্ক আর স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আর্জি জানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন ও আর্জিকে উপেক্ষা করেই কলকাতা তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হাটে-বাজারে দলে দলে ভিড় করছে মানুষ। সামাজিক দূরত্ব বিধিকে ফুৎকার দিয়ে চলছে রাজনৈতিক কাজকর্ম। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ।
স্বরাষ্ট্র সচিবের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গত মার্চ মাসের ২৩ তারিখের মতোই বিধিনিষেধ থাকছে এবারের লকডাউনে। জেলাশাসক এবং পুর কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট করা এলাকায় কোনও সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলবে না। বন্ধ থাকবে যান চলাচল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, দোকান-বাজার, কারখানা। এমনকী, ছাড় নেই ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যে কোনও জমায়েত এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন যাবতীয় কার্যকলাপেও। স্বরাষ্ট্র সচিবের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বর্ধিত এই কন্টেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এই সমস্ত এলাকার বাসিন্দারা কেউ বাইরে যেতে পারবেন না, আবার বাইরে থেকে কেউ এই এলাকায় আসতে পারবেন না। কীভাবে বাছাই করা হবে বিসিজেড এলাকা? কলকাতার ক্ষেত্রে পুরসভা এবং পুলিস ঠিক করবে এলাকাগুলো। জেলার ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও পুলিস সুপার মিলে সেগুলি চিহ্নিত করবেন। কমিশনারেট এলাকায় পুলিস কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে তালিকা প্রস্তুত করবেন জেলাশাসক। প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুরসভা এলাকায় এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বেশ কয়েকটি এলাকাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। রাতে জানা যায়, সেই সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে। তবে সেই সংখ্যা কত হবে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ঠিক হয়নি। কিন্তু কেন নিতে হল লকডাউনের নতুন সিদ্ধান্ত? জুলাইয়ের গোড়া থেকে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অভিজাত এলাকায় বহুতলের বাসিন্দাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরেও।