গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে একসময় বিভিন্ন ব্লক থেকে অভিযোগ আসতে থাকে। উপভোক্তাদের কাটমানি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি এলাকায়। তা নিয়ে সূতিতে বিক্ষোভ হয়। তারপরেই প্রকল্পে স্বচ্ছতা আনার জন্য জেলা প্রশাসন কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আধিকারিকদের মতে, বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের মতো হাউসিং ফর অল প্রকল্পেও বিভিন্ন শহর থেকে নানা অভিযোগ আসছে। শহরেও এরকম কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে অনিয়ম রুখতে ব্লকের আধিকারিকরা একসময় মাইকে প্রচার চালিয়েছিলেন। তাঁরা উপভোক্তাদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন। কিন্তু তারপরও কাটমানি নেওয়া আটকানো যায়নি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কার্ডে বাংলায় সবকিছু সহজভাবে লেখা রয়েছে। তা পড়ে উপভোক্তারা সচেতন হচ্ছেন। প্রতিটি কিস্তিতে কত টাকা পাওয়া গিয়েছে, সেটাও তাঁদের উল্লেখ করতে হচ্ছে। এরফলে অনেকটাই অনিয়ম কমবে। কেউ কেউ এই প্রকল্পে সহযোগিতা করার নামে টাকা নিচ্ছে। সেকারণে উপভোক্তাদের বলা হচ্ছে, এই প্রকল্পের জন্য বাইরের কারও কোনও সহযোগিতা নেওয়ার দরকার নেই। তালিকা ধরে বাড়ি তৈরি হচ্ছে। কিস্তির টাকাও নিয়ম মেনেই সবার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। কয়েক দিন আগে সূতি ব্লকের বেশ কয়েকজন উপভোক্তা অভিযোগ করেন, বাড়ি দেওয়ার নাম করে এক জনপ্রতিনিধি তাঁদের কারও কাছে ১০ হাজার আবার কারও কাছে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। পরে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসার পর তিনি আরও অর্থ দাবি করেন।
কংগ্রেস নেতা শিলাদিত্য হালদার বলেন, তৃণমূল নেতারাই এই প্রকল্পে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কাটমানি নিচ্ছেন। এটা ওদের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন হাজার চেষ্টা করলেও তা বন্ধ করতে পারবে না। তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, দল কখনওই কাউকে এসব কাজে সমর্থন করে না। কেউ কাটমানি নিলে প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। দল কোনও দায়িত্ব নেবে না।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রতারকরা কখনও বাড়ি পাওয়ার জন্য তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার জন্য আবার কখনও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তুলছিল বলে অভিযোগ। উপভোক্তাদের বিভিন্নভাবে সচেতন করায় এখন সে ধরনের অভিযোগ অনেকটাই কমে গিয়েছে। আগামী দিনে এই প্রকল্পে আরও বেশি স্বচ্ছতা আনার জন্য উপভোক্তাদের কাছে জেলা প্রশাসন কার্ড পৌঁছে দিচ্ছে। বাড়ির ছবিও সরকারি আধিকারিকরা তুলে রাখছেন। জেলার শীর্ষ আধিকারিকরাও আচমকা পরিদর্শনে যেতে শুরু করেছেন।