বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
গত মঙ্গলবার পাথরপ্রতিমায় গিয়ে বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্তদের বাংলার আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য জেলাশাসক পি উলগানাথনকে নির্দেশ দেন। একই নির্দেশ আসে পঞ্চায়েত দপ্তরেও। কিন্তু কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে যে নিয়ম করা হয়েছে, তাতে যে তালিকা সমীক্ষা অনুযায়ী করা হয়েছে, তার বাইরে কাউকে বাড়ি করে দেওয়া সম্ভব নয়। পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার আবাস যোজনায় ৩৮ লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়। তার মধ্যে ১৪ লক্ষ বাড়ি ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। বাকি ২৪ লক্ষ বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে সেই বাড়ি তৈরি করা হবে বলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলার আবাস যোজনায় গত দু’বছর প্রথম হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এবার ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে ৮ লক্ষ ৩০ হাজার। কারা কারা তা পাবে, তার তালিকাও হয়ে গিয়েছে। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা চলে যাবে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক অনুমোদন না দিলে নতুন করে তালিকায় কারও নাম ঢোকানো সম্ভব নয়। এবছর লোকসভা নির্বাচন থাকার জন্য প্রথম চার মাস বাড়ি তৈরির কাজ করা যায়নি। ইতিমধ্যে ৮ লক্ষ ১২ হাজার বাড়ি অনুমোদিত হয়েছে। ৭ লক্ষ ৫৫ হাজার বাড়ির মালিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পৌঁছে গিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়েছেন ১ লক্ষ ৩৬ হাজার মানুষ।
শুক্রবার পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৫৪০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩০০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের। আর বাকি টাকা রাজ্য সরকারের। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার দেয় ৬০ শতাংশ টাকা। আর রাজ্য সরকার দেয় ৪০ শতাংশ। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরি করা হয়। যার মধ্যে ৬০ হাজার, ৫০ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা তিনটি কিস্তিতে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম কিস্তির ৩০০০ কোটি টাকা দিলেও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বাকি রয়ে গিয়েছে। তার পরিমাণও তিন হাজার কোটি টাকা। প্রথম কিস্তির ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট এবং অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাঠানো হয়।
বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একটি টাকাও দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নানাভাবে সাহায্য করা হয়েছে। বাড়ি তৈরি করে দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিয়মের জটিলতায় সমস্যায় রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। সেই সঙ্গে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে ২১ হাজার মানুষ বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা বাড়ি তৈরি করে দিতে রাজি। কিন্তু বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কারা বাড়ি পাবে, তা সমীক্ষা অনুযায়ী ঠিক হয়। সেই মতো বাড়ি তৈরি হচ্ছে। অর্থদপ্তর অনুমতি দিলে আমরা বাড়ি তৈরি করে দিতে রাজি আছি। অর্থদপ্তরের কাছে আবেদন করেছি।