বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বুধবার দুপুরে হাওড়া স্টেশন চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, আর পাঁচটা কাজের দিনের ব্যস্ততা বা ভিড় নেই। কিন্তু, স্টেশনের ভিতর ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন কাতারে কাতারে মানুষ। এক-একটা লোকাল ট্রেন এসে থামার পর মানুষের স্রোত নেমে এসেছে। রেল দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, সকাল থেকে হাওড়ার দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় (হাওড়া-খড়্গপুর) আংশিক ব্যাহত হয় পরিষেবা। এর জন্য মোট ১৫টি লোকাল বাতিল করতে হয়। মোট ১১টি মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে পড়ে এই শাখার বিভিন্ন স্টেশনে। তুলনায় হাওড়ার পূর্ব রেল শাখা ছিল নির্ঝঞ্ঝাট। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকালের দিকে অল্প সময়ের জন্য এই শাখার কয়েকটি স্টেশনে অল্প সময়ের জন্য অবরোধ হয়েছিল।
স্টেশন থেকে বেরিয়ে বড় একটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন বেহালার বাসিন্দা বিশ্বনাথ মণ্ডল এবং তাঁর স্ত্রী। বিশ্বনাথবাবু বলেন, আমরা তো ট্যাক্সি করে যাওয়ার কথা ভাবিনি। এখান থেকে এক বাসে সরাসরি যাওয়া যায় আমাদের বাড়ি। কিন্তু এখন ট্যাক্সি করতে গেলে তো অনেক খরচ পড়ে যাবে। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা চেঙ্গাইল স্টেশনে আটকে পড়েছিলেন। সব মিলিয়ে তাঁদের ট্রেন হাওড়ায় ঢুকেছে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা দেরিতে। হাওড়ায় নেমে রীতিমতো বিরক্ত বিশ্বনাথবাবু বলেন, সরকারি বাস কোথায় পাব, সেটাও তো বুঝতে পারছি না। দেখি, সেরকম হলে ট্যাক্সিতেই যেতে হবে। আর কতক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়ে থাকব?
এরকমই বাস ধরার জন্য বেসরকারি বাসস্ট্যান্ডে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করছিলেন এন্টালির বাসিন্দা শেখ সামসুজ্জমান। তিনি মেদিনীপুর থেকে ফিরেছেন একটি লোকাল ট্রেনে। তিনি বলেন, ধর্মঘটের প্রভাব তাহলে কিছুটা পড়েছে বলতে হবে। আগেও বন্ধের দিন এখানে বাস পেয়েছিলাম। আজ তো দেখছি না। হাওড়ার গঙ্গার ঘাটগুলিতে ফেরি পরিষেবা এদিন অবশ্য স্বাভাবিক ছিল। সকালে অফিসটাইমে কাতারে কাতারে অফিসযাত্রীরা হাওড়ার ঘাট থেকে লঞ্চে চেপে বিবাদী বাগ পৌঁছে গিয়েছেন।