কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরেই বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, এবার বাংলাতেও এনআরসি হবে। যা নিয়ে আতঙ্কও রয়েছে পুরোমাত্রায়। বিভিন্ন কর্মসূচিতে রাজ্যে গিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা তো বটেই, এমনকী সম্প্রতি দিল্লিতে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা লোকসভার সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যে এনআরসি হবে, তাতে অন্তত দুকোটি মানুষের নাম বাদ পড়বে। দিলীপবাবুর ওই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল জল্পনারও সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিজেপির এই হইচই করাকে বাংলার মানুষ কীভাবে নিচ্ছেন, তা এবার সরাসরি বুঝতে চাইছেন অমিত শাহ। এবং সেই কারণেই তিনি ভরসা করছেন পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এনআরসি নিয়ে বাংলার মানুষের মধ্যে যদি বিন্দুমাত্র সংশয় বা ভীতি থাকে, তাহলে তার প্রভাব উল্লিখিত তিন বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোটবাক্সে পড়বে বলেই মনে করছে বিজেপি। আর তা থেকেই এনআরসি ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপির অন্দরের খবর, খড়্গপুর সদর সেভাবে না হলেও কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুরের মানুষদের একটি বড় অংশ দেশভাগের সময় অথবা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় এ পারে চলে আসতে কার্যত বাধ্য হয়েছিলেন। এনআরসির ইস্যুটি তাঁরা কীভাবে নিয়েছেন, তা নিয়ে বিশেষ নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না বিজেপি নেতারা। এবং সেই কারণেই তাঁরা প্রধানত ভরসা করে রয়েছেন উপনির্বাচনের ফলাফলের উপরই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘উপনির্বাচনের ভোটপ্রচারে যেমন এনআরসি ইস্যু এসেছে, তেমনই প্রাসঙ্গিক অন্য এজেন্ডাও সামনে আনা হয়েছে। কারণ শুধু এনআরসির উপর ভিত্তি করে তো আর ভোটে লড়াই করা যায় না। তবে আমরা এনআরসির পাশাপাশিই সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল নিয়েও প্রচার করছি।’ এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে একধাক্কায় ১৮টি আসনে জিতে যাওয়ার পর থেকেই বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ক্ষমতায় আসা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ২০২১ সালের ভোটের আগে এই তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনকে কার্যত এনআরসি ইস্যুতে নিজেদের লিটমাস টেস্ট হিসেবে দেখছে বিজেপি। সেই কারণেই এর ফলাফল দেখার পরেই ২০২১ সালের নির্বাচনী প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছেন অমিত শাহ।