কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
এদিন মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে চাষাবাদ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু মাটিতে নেমে কেউ বাস্তব সমস্যার কথা বলে না। আলুর মধ্যে থাকা জলীয় পদার্থই হোক বা আমের মধ্যে শাঁসের বদলে ফাইবার বা আঁশের আধিক্য—খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে হরেক সমস্যা আছে এখানে। সবাই ভাবে, সরকার বুঝি সবটুকু করে দেবে। কিন্তু বাজারের চাহিদা অনুযায়ী যেমন চাষিরা উৎপাদন করে না, তেমনই বাজারের কাটতির দিকে নজর দিয়ে চাষিদের উৎসাহও দেয় না কোনও সংস্থা। অথচ দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ কৃষিজীবী। মন্ত্রীর কথায়, এই যেখানে পরিস্থিতি, সেখানে কৃষক এবং ব্যবসায়ী—দু’পক্ষই এগিয়ে না এলে আর্থিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রেজ্জাক মোল্লার কথায়, এখনও পর্যন্ত তাঁরা রাজ্যে ৩০টি সংস্থা খুলেছেন, যেখানে অংশীদারি কৃষি শুরু হয়েছে। এখানে চাষি এবং ব্যবসায়ী একসঙ্গে একটি সংস্থা খুলছেন, যেখানে উভয়েরই মালিকানা থাকছে। যেহেতু এখানে মাথাপিছু চাষের জমির পরিমাণ কম, তাই একাধিক কৃষক সেই সংস্থায় যুক্ত হচ্ছেন। এখানে আর্থিক সাহায্য বা প্রযুক্তিগত সহায়তা পাচ্ছেন চাষি। জমির মালিকও থাকছেন তিনি। শুধু উৎপাদিত পণ্যের দাম ঠিক হয়ে যাচ্ছে আগে থেকেই। বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সেই দাম ঠিক হয়। এক্ষেত্রে আগে থেকে ব্যবসায়ী এবং কৃষকের মধ্যে চুক্তি থাকবে উৎপাদিত দ্রব্য কেনার ক্ষেত্রে। বাজারে বেশি দাম পেলেও যেমন সেই পণ্য বেচতে পারবে না কৃষক, তেমনই বাজারে দাম কমে গেলেও সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি পূর্ব নির্ধারিত দাম দিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু এক্ষেত্রেও বাজার পাওয়া যাচ্ছে না বলে নতুন করে কোনও সংস্থা অংশীদারি চাষে আসছে না বলে আক্ষেপ করেন মন্ত্রী।
কৃষিকে আরও উন্নত করতে চুঁচুড়ায় একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এর জন্য ১০ একর জায়গা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা।