কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
রবিবারের পর সোমবার রাজীব কুমারের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসেন সিবিআই কর্তারা। নানা বিষয়ে তাঁরা তাঁর কাছে জানতে চান। রাজীব কুমারও সপ্রতিভ ভঙ্গিতে সেসবের উত্তর দেন। সেখানে তৃণমূলের প্রাক্তন এমপি কুণাল ঘোষও ছিলেন। সিবিআই অফিসাররা সারদার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের প্রসঙ্গ তোলেন। অনেক অভিযোগ না নেওয়ার কথাও আলোচনায় আসে। পুলিস কমিশনার শাণিত যুক্তি দিয়ে বোঝান, অভিযোগ এসেছে থানায়। সিটের কাছে অভিযোগ আসেনি। এফআইআরও তারা করেনি। সমস্ত কিছুই করা হয়েছে থানায়। আর একটি থানায় অভিযোগ আসেনি। এসেছে একাধিক থানায়। তাই কী হয়েছে, তা থানার পক্ষেই বলা সম্ভব। তাই সমস্ত এফআইআর নিয়ে তাঁর পক্ষে কী করে বলা সম্ভব? এই সমস্ত প্রশ্ন করা তাঁর কাছে অর্থহীন। তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়ার আগে সিবিআইয়ের উচিত, আসল রুটে গিয়ে বিষয়টি বোঝা।
এরপরই সিবিআইয়ের তরফে একটি ফুটেজ তুলে ধরা হয়। তাতে সারদার টাকা কীভাবে পাচার করা হয়েছে এবং ভুয়ো কোম্পানির ভূমিকা কী ছিল, তা উঠে আসে। এক্ষেত্রে প্রভাবশালী অংশের সাহায্য মিলেছিল বলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা যুক্তি দেখান। এক্ষেত্রেও সোজা ব্যাটে খেলে রাজীবের যুক্তি, সারদার টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে, তার তদন্ত তো তাঁরাই প্রথম শুরু করেছিলেন। এই সংক্রান্ত তথ্য সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। রাজীব কুমার সিটের পক্ষে জানান, চিটফান্ড তদন্তে তাঁর অফিসাররা অত্যন্ত ভালো কাজ করেছেন।
দ্বিতীয় দফায় রোজভ্যালির প্রসঙ্গ ওঠে। এই চিটফান্ড সংস্থার মিন্টো পার্ক এলাকায় যে হোটেল রয়েছে, তা আলোচনায় উঠে আসে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা সেই সময়ই জানতে চান, তাঁদের অফিসারকে কেন ডাকা হয়েছিল বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রোজভ্যালির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জমা পড়েছে কি না। এই নিয়েও রাজীব কুমার একাধিক যুক্তি তুলে ধরেছেন। যাতে সন্তুষ্ট সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরই রোজভ্যালির বিরুদ্ধে দুর্গাপুরে এফআইআর না হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়। রাজীব কুমার পরিষ্কার জানান, ওই এলাকা তাঁর মধ্যে পড়ে না। দীর্ঘ কথাবার্তার পর রাজীব কুমার সিবিআই অফিস থেকে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বেরিয়ে যান। আজ, মঙ্গলবার ফের তাঁকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হবে।