কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
কী কী রয়েছে সেই সাফল্য গাথায়? ক্ষমতায় আসার আগে ২০১০-১১ সালে পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ যা ছিল, তা বেড়েছে চারগুণেরও বেশি। ২০১০-১১ আর্থিক বছরে এ বাবদ বরাদ্দ ছিল ৬৮৪৫ কোটি টাকা। গত ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮,৫৬১ কোটিতে। গ্রাম ও শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নে যেখানে আগামী আর্থিক বছরের জন্য বাজেট বরাদ্দ ১.৪১ হাজার কোটি টাকা কমিয়েছে মোদি সরকার, সেখানে বরাদ্দ বাড়িয়েছে মমতার সরকার। পানীয় জল, পরিবহণ, পূর্ত দপ্তরের সড়ক নির্মাণ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, বিদ্যুৎ, নগরোন্নয়ন ও পুসভার পরিষেবা এবং আবাসন, এই সব মিলিয়ে যা পরিকাঠামো উন্নয়ন বলে চিহ্নিত, সেই খাতে এবার রাজ্য সরকার বরাদ্দ বাড়িয়েছে ১৩.৪৮ শতাংশ। এরই পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নের পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১৩.২৫ শতাংশ। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র চলতি আর্থিক বছরে গ্রাম ও শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থাৎ রাস্তা, সেতু, বাঁধ, সেচ খাল, পানীয় জলের সংস্থান সহ আরও অনেক কিছু কাজে রাজ্য সরকার ৩৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে।
সাফল্যের ২১টি কাজের মধ্যে রয়েছে শিল্পস্থাপনে ‘এক জানালা নীতি’। বিদ্যুৎ, পানীয় জল, দমকলের ছাড়পত্র সহ প্রয়োজনীয় সব অনুমোদন মিলছে এক জায়গা থেকেই। সিংহভাগ ক্ষেত্রে তাও আবার অনলাইনেই। এগুলির অন্যতম, বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত দেশের প্রথম গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর অন্ডাল এবং শিল্প ও পরিকাঠামো গঠনে প্রয়োজনীয় জমির সংস্থানে ‘ল্যান্ড পারচেজ পলিসি’। এই সারিতেই রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটন, ধর্মীয় স্থান এমনকী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রকে ঘিরে আটটি উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের বিষয়টিও। ২০১৩ সালে গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল এই পর্ব। এরপর ২০১৫ সালে ফুরফুরা শরিফ, তারাপীঠ-রামপুরহাট, ২০১৬ সালে পাথরচাপড়ি এবং ২০১৭ সালে বক্রেশ্বর, মুকুটমণিপুর, তারকেশ্বর এবং চ্যাংড়াবান্ধার সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়নের জন্য গঠিত হয় উন্নয়ন পর্ষদ।
২১টির তালিকায় রয়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় সড়ক নির্মাণে গোটা দেশে রাজ্যের এক নম্বর আসনে বসার কাহিনীও। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় গত সাড়ে সাত বছরে মোট ২৬ হাজার ৩০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি ও সংস্কারের কাজ। রয়েছে রাজ্যে নতুন করে ১.৭১ লাখ একর জমিকে সেচসেবিত করার বিবরণও। আছে আবাসন প্রকল্পের আওতায় আসা ৩৪ লক্ষ গরিব মানুষের কথা। রাজ্যে নতুন হাসপাতাল তৈরি এবং তাতে আরও ৭৯ হাজার নতুন শয্যা সংযোজনের বিষয়টিও রয়েছে। তালিকায় আছে সবার ঘরে আলো প্রকল্পে ১০০ শতাংশ গৃহে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ার বিবরণও। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, উন্নয়নের যে ফিরিস্তি জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা হবে, অনেক ক্ষেত্রে তার বৃদ্ধির পরিমাণ জাতীয় নিরিখের থেকে অনেক বেশি। সাম্প্রদায়িকতা আর বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ২১ সাফল্যের ওই তালিকা তাঁদের বাড়তি ‘অক্সিজেন’ জোগাবে বলেই মনে করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।