উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
রেল সূত্রে খবর, উৎসবের মরশুমে ট্রেনে রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে কিংবা ঘরে ফেরার পথে সঙ্গে থাকা লাগেজ খুইয়েছেন। তবে বিপুল পরিমাণ খোয়া যাওয়া জিনিস উদ্ধারও করেছে রেল। আর তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রকৃত মালিকদের হাতে। উদ্ধার হওয়া জিনিসের পরিমাণও নেহাত কম নয়। টাকার মূল্যে প্রায় ৪৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩৭৪ টাকার জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে। রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) কড়া নজরদারি চালানোর ফলে বহু যাত্রী হারিয়েও ফিরে পেলেন মূল্যবান সামগ্রী।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র পূর্ব রেলের আওতায় থাকা চারটি ডিভিশনে অক্টোবরে ৩৬৫টি লাগেজ উদ্ধার হয়েছে। আরপিএফ জওয়ানদের তত্ত্বাবধানে স্টেশনে লাগাতার নজরদারি চলে। ‘অপারেশন আমানত’এ এই বিরাট পরিমাণ লাগেজ উদ্ধার করেছে বাহিনী। হাওড়া ডিভিশনে সবথেকে বেশি উদ্ধার। যাত্রীদের খোয়া যাওয়া ১৫৪টি লাগেজ এই ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে মিলেছে। আরও এক ব্যস্ত ডিভিশন শিয়ালদহে উদ্ধার ১০৯টি লাগেজ। মালদহ ও আসানসোল ডিভিশনে উদ্ধার যথাক্রমে ৩৮ এবং ৬৪। মূল্যবান লাগেজ ও সামগ্রী উদ্ধার করে সেগুলি সেফ কাস্টডিতে রাখে আরপিএফ। পরবর্তী সময় সরকারি নিয়ম মেনে যাবতীয় জিনিসের পরীক্ষা ও যাচাইয়ের পর প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সুনির্দিষ্ট বিধি মেনে। কালীপুজো কেটে গিয়েছে। উৎসবের রেশ ফিকে। তবুও এখনও অনেকে লাগেজ নিতে ভুলে যাচ্ছেন। রবিবার তিন নভেম্বর হাওড়া, বর্ধমান, শিয়ালদহ, কলকাতা, বনগাঁ, আন্দুল ও আসানসোল স্টেশনে বিভিন্ন ট্রেন ও স্টেশন কিংবা প্ল্যাটফর্ম থেকে ১০টি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেগুলি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে মালিকদের।
রেল কর্তাদের বক্তব্য, বাসে বা ভাড়া গাড়িতে ফেলে যাওয়া লাগেজ ফিরে পাওয়া কঠিন। কিন্তু ভারতীয় রেল সুনির্দিষ্ট নিয়মে বাঁধা। যাত্রী সুরক্ষায় আরপিএফ, সিসিটিভি নজরদারি সহ একাধিক আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। এক্ষেত্রে যাত্রী ব্যাগ হারালে রেল স্টেশনে যোগাযোগ করতে পারেন। সুরক্ষা বাহিনী প্ল্যাটফর্ম কিংবা ট্রেনের কামরা চেক করার সময় খোয়া যাওয়া ব্যাগ কিংবা কোনও সামগ্রী দেখলে তা উদ্ধার করে। সেগুলি সেফ কাস্টডিতে চলে যায়। দ্রব্যের প্রকৃত মালিক উপযুক্ত নথিপত্র জমা করে তা দাবি করলে দ্রুত ফেরত পেয়ে যান। গোটা পদ্ধতি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।