শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
সেরা মণ্ডপ, সেরা প্রতিমা, সেরা আলোকসজ্জা, সেরা পরিবেশ— সেরার সেরা হওয়ার লড়াইয়ে এসবই ছিল বাঁধাধরা মানদণ্ড। ছোট, মাঝারি থেকে বিগ বাজেটের পুজো। দৌড়ে এগিয়ে থাকতে চেষ্টার কসুর করত না কেউই। কিন্তু এবার সেরা পুজো বাছাই হবে পরিচ্ছনতার মাপকাঠিতে। বর্জ্য পৃথকীকরণের মাধ্যমে। পরীক্ষায় বসার বিষয়টি অবশ্য ইচ্ছা বা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করছে না। বাধ্যতামূলক করেছে পুরসভা। পরীক্ষায় সফল হলে প্রথম ১০ পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করবে পুরকর্তৃপক্ষ।
করোনা-ভীতি মাথায় নিয়েই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে। মণ্ডপ তৈরির প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। প্রতিমায় ফিনিশিং টাচ দিচ্ছেন শিল্পীরা। দু-একদিনের মধ্যেই সপরিবার কুমোরটুলি ছাড়বেন উমা। বাজেট কমিয়ে হলেও উত্তর দমদমজুড়ে পুজো হচ্ছেই। এবারও শ’ দুয়েকের উপরে পুজো হবে এই পুরসভার এলাকায়। প্রশাসক সুবোধ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রতি পুজো কমিটিকে নীল ও সবুজ রংয়ের দু’টি করে বালতি দেওয়া হবে। পচনশীল ও অপচনশীল পদার্থ আলাদাভাবে দুটি বালতিতে রাখা বাধ্যতামূলক। এই কাজ যে পুজো কমিটি যত ভালোভাবে করবে, তা বিচার-বিশ্লেষণ করে পুরস্কৃত করা হবে। পুরসভার আধিকারিকরা বলছেন, ফুল, বেলপাতা, মিষ্টি— এগুলি সবুজ বালতিতে রাখতে হবে। প্যাকেট, ঝুড়ি কিংবা ভাঙা কোনও জিনিস নীল রঙের বালতিতে রাখবে পুজো কমিটিগুলি। পুরসভার কর্মীরা পুজো প্রাঙ্গণ থেকে তা সংগ্রহ করবে। পুরসভার তরফে বলা হয়েছে, প্রতি পুজো কমিটি যেন এই বিষয়টি ভালোভাবে তদারকি করে। এর জন্য দু’জন করে ভলান্টিয়ার নিযুক্ত করতে পারে তারা। সেইসঙ্গে প্রতি পুজো কমিটিকে ২০০টি করে মাস্ক এবং করোনা ও ডেঙ্গু রোধে সচেতনতার বার্তা লেখা ফ্লেক্স দেওয়া হবে। আধিকারিকদের আশা, পুজো মণ্ডপে মানুষজন আসবেন। ফলে বর্জ্য পদার্থ আলাদা করে রাখার বার্তাটাও তারা পেয়ে যাবেন। উত্তর দমদম পুর এলাকা থেকে সংগৃহীত আবর্জনা পড়ে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। ইতিমধ্যে দমদম পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিটি বাড়ি থেকে পচনশীল ও অপচনশীল পদার্থ আলাদাভাবে সংগ্রহ করা হবে। পার্শ্ববর্তী উত্তর দমদম পুরসভাও এই পথে হাঁটতে চলেছে। সূত্রপাত হচ্ছে পুজো কমিটিগুলির মধ্যে দিয়ে।