প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বুধবার জানিয়েছেন, তাঁর নারায়ণপুর এলাকায় বহু প্রবীণ মানুষ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী চেয়ে ফোন করেছেন। ফোন পেয়েই তাঁরা সকাল সকাল সেই সমস্ত খাদ্যসামগ্রী বা ওষুধ তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁদের আর কিছু প্রয়োজন হলে ফের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ি থেকে না বেরনোর আবেদন জানিয়ে এদিন সকালে লাগাতার প্রচার চলেছে। বহু বাসিন্দাকে মাস্ক, সাবান দেওয়া হয়েছে ডেপুটি মেয়রের উদ্যোগে।
সল্টলেকে একইভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অন্যান্য কাউন্সিলাররা। দত্তাবাদে ৩৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার নির্মল দত্ত তাঁর এলাকার ৫৬ জন প্রবীণের বাড়িতে চাল, ডাল, আলু, নুন, তেল পৌঁছে দিয়েছেন। নির্মলবাবু জানান, আগামী কয়েকদিন তিনি তাঁর এলাকার প্রবীণদের যথাসাধ্য সাহায্য করবেন। একইভাবে সল্টলেকের ৪১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এদিনও একাধিক বাড়ি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি জানান, প্রত্যেকদিনই তাঁর ওয়ার্ডের একাধিক বাসিন্দা সাহায্য চেয়ে তাঁকে ফোন করছেন। তিনি সবাইকেই যথাসাধ্য সাহায্য করছেন। একইভাবে সল্টলেকের ৩৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা বিধাননগরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানাও এদিন তাঁর এলাকায় একইভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি জানান, তাঁর এলাকার বহু বয়স্ক মানুষ এদিন ওষুধ কিনে দিতে বলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। প্রত্যেকের বাড়িতেই সেই ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তাঁর ওয়ার্ড এলাকায় বসবাসকারী বয়স্কদের ফোন করে তিনি খোঁজ নিচ্ছেন নিয়মিত।
এদিকে বুধবার সল্টলেকে ‘কেন বেরিয়েছেন? কোথায় যাচ্ছেন?’ পুলিসের প্রশ্ন শুনে গাড়ি থেকে নেমে কর্তব্যরত পুলিসকর্মীদের সঙ্গে অসভ্য আচরণ করেন এক মহিলা। এমনকী এসআই পদমর্যাদার এক পুলিস কর্মীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহও করেন তিনি। এরপর সেই মহিলা, তাঁর বন্ধু এবং গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস। ধৃতরা হলেন শর্মিষ্ঠা দেবনাথ, নির্মল বাল্মীকি (মহিলার বন্ধু) এবং গাড়িচালক জাভেদ খান।
এদিন সাড়ে বেলা ১২টা থেকে ১টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের পিএনবি মোড়ের কাছে। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ওই জায়গায় তারা যখন টহল দিচ্ছিল, সেই সময় সিএ ব্লকের দিক থেকে একটি গাড়ি আসছিল। গাড়িটি আটকানো হলে যাত্রীরা জানান, তাঁরা পিকনিক গার্ডেন থেকে এসেছেন। কিন্তু কেন এসেছেন, সেবিষয়ে তাঁরা কিছু জানাতে রাজি হননি। এরপর পুলিস তাঁদের থানায় নিয়ে যেতে চাইলে তাঁরা অসভ্য আচরণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাতে চালক সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।