প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার নেওয়া করোনা ভাইরাসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সব ক্রীড়া ইভেন্ট। ভারতেও সমানে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিচার করে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফলে আর পাঁচজনের মতো খেলোয়াড় ও কোচদের অলস সময় কাটছে বাড়িতে বসে। নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ফেরার পর বিশ্রামেই রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে একদিনের সিরিজ। ধরমশালায় প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর করোনার জেরে শেষ দু’টি ম্যাচও বাতিল হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ২৯ মার্চ থেকে আইপিএল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘোর অন্ধকারে জনপ্রিয় ওই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ। এই পরিস্থিতিতে শুধু নিজের নিরাপত্তা নয়, সকল মানুষের নিরাপত্তার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রবি শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন ক্রিকেট নিয়ে ভাবার সময় নয়। নিরাপদে থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারপর খেলাধূলা। আর এই কঠিন সময়ে শুধু নিজের সুরক্ষার কথা ভাবলে চলবে না, অন্যদের সুরক্ষিত রাখার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এর জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বোঝাতে হবে যে, এই লকডাউন ব্যাপারটা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে কোহলি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছে। অন্যরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সতর্ক করছে। ক্রিকেটাররা জানে, এখন আমরা একটা সিরিয়াস সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি। এখন ক্রিকেট বন্ধ রাখতেই হবে।’
যে ক্রিকেটাররা প্রতিনিয়ত এদেশ থেকে সে দেশে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হতেন, লকডাউনের কারণে তাঁরাও এখন গৃহবন্দি। এবাবে আরও কতদিন ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে হবে তারও কোনও আন্দাজ নেই। অতিরিক্ত ক্রিকেট নিয়ে কিছুদিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে বিরাট কোহলি, তিনিও গত কয়েকদিন যাবৎ নিভৃতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। প্লেয়ারদের এই পড়ে পাওয়া বিশ্রামকে মুক্ত মনে স্বাগত জানিয়েছেন শাস্ত্রী। যিনি গত বছর মে মাসে বিশ্বকাপ থেকে শুরু এই লকডাউনের আগে পর্যন্ত বাড়িতে সময় কাটিয়েছেন মেরেকেটে ১০-১১ দিন। তাই হতাশার মধ্যেও খানিকটা স্বস্তির সুরে শাস্ত্রী জানিয়েছেন, ‘এই বিশ্রামটা মন্দ নয়। বিশেষ করে ক্রিকেটারদের জন্য। কারণ, গত ১০ মাস ধরে একটানা ক্রিকেট খেলতে হয়েছে আমাদের। অবিরাম ঘুরে বেড়াতে হয়েছে এখান থেকে ওখানে। কিছু নির্দিষ্ট খেলোয়াড় রয়েছে যারা তিনটি ফরম্যাটেই খেলে থাকে। তাই বুঝতেই পারছেন যে, এটি তাদের উপর কতটা চাপ তৈরি করে। বিশেষত টি-২০ থেকে টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ধকল, তার সঙ্গে নিরন্তর ট্র্যাভেল। নিউজিল্যান্ড সফরের শেষদিকে তো মানসিক অবসন্নতা দেখা গিয়েছিল ছেলেদের মধ্যে। সেই সঙ্গে শারীরিক সমস্যা এবং চোটের প্রবণতাও বাড়ছিল। লকডাউন ওদেরকে মূল্যবান ছুটির সুযোগ করে দিয়েছে। ক্রিকেটাররা এই সময়ে নতুন করে নিজেদের উদ্যম ফিরে পাবে।’
তবে করোনা পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন রবি শাস্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘এটা আমাদের কাছে বড় ধাক্কা। সত্যি বলতে কী, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের সময় আমরা যখন রাস্তায় ছিলাম, তখনই এটা অনুমান করতে পেরেছিলাম। যেভাবে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছিল, তাতে এমন কিছু হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যখন দ্বিতীয় ওয়ান ডে বাতিল হয়ে গেল তখন বুঝলাম যে, লকডাউন অনিবার্য। ক্রিকেটাররাও বুঝে গিয়েছিল পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক হতে চলেছে। এখন মনে হচ্ছে, ভাগ্যিস আমরা ঠিক সময় নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে এসেছিলাম। যেদিন বিমানবন্দরে নামলাম, সে দিন থেকেই ভারতে স্ক্রিনিং শুরু হয়েছিল।’