প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিমেন্ট কারখানার দ্বিতীয় ইউনিট তৈরির কাজ চলছে। সেখানে সাড়ে চারশো ভিনরাজ্যের শ্রমিক, টেকনিক্যাল কর্মী আটকে পড়েন। প্রায় সাড়ে তিনশো শ্রমিকের বাড়ি বিহারে। বাকিদের বাড়ি ওড়িশা, দক্ষিণ ভারত। লকডাউনের পর-পরই কারখানার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় ইউনিটের মধ্যে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে। তাঁদের খাবারের ব্যবস্থাও করে। কিন্তু, শুক্রবারই কারখানার ভিতরে আটকে থাকা কিছু শ্রমিক ভিডিও করে খাবারের সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেন। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত পৌঁছানোর পরই ব্লক প্রশাসন, পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা শ্রমিকদের সমস্যার কথা শুনতে যান।
জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, কারখানার আটকে থাকা শ্রমিকদের খাবারের অসুবিধা রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়। তাঁদের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। শালবনী ব্লকের বিডিও সঞ্জয় মালাকার বলেন, লকডাউনের জেরে আটকে থাকা ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার জন্য ওই পোস্ট করেছিলেন। খাবারের কোনও সঙ্কট ছিল না। তবুও, আমরা বিষয়টি জানার পর শ্রমিকদের কাছে গিয়ে কথা বলেছি। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রথম থেকে শ্রমিকদের খাবারের ব্যবস্থা করেছিল। প্রথমে তারা রান্না করা খাবার সরবরাহ করত। পরে, তাদের চাল, ডাল, সব্জি সবকিছু সরবরাহ করা হয়। কিছু শ্রমিক খাবার অপ্রতুল বলে ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছিলেন। পরে, ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিডিও, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ সহ আমরা সেখানে যাই। খাবারের জোগান ছিল। তারপরও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এক মাসের জন্য চাল, ডাল, সয়াবিন সহ সমস্ত রকমের খাবার, স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়। কিন্তু, প্রত্যেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য আমাদের কাছে আর্জি জানান। খাবারের থেকে শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাটাই মূল বক্তব্য।