প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
ডিজি ঘুরে যাওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিস এমন ব্যবস্থা চালু করেছে। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা নিয়ে কোনও ভুয়ো ছবি কিংবা তথ্য দিলে সেক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলার পুলিস সুপার স্পষ্ট জানিয়েছেন।
শনিবার তমলুকের মহকুমা শাসক কৌশিকব্রত দে এবং এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস তমলুকের মেছোবাজার, রাধাবল্লভপুর বাজার, নারায়ণদাঁড়ি বাজার, ব্যবত্তারহাট প্রভৃতি জায়গা পরিদর্শন করেন। এদিন সকালবেলা হাটবাজারে লোকজন একটু বেশিই ছিলেন। বিভিন্ন বাজারে পুলিসের পক্ষ থেকে সুরক্ষাবলয় এঁকে দেওয়া হয়। যদিও তমলুক শহরের সবচেয়ে বড় মাছবাজার অত্যন্ত ঘিঞ্জি এবং সেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে অফিসাররা সংশয়ে আছেন।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর, ভগবানপুর, খেজুরি এলাকার ১৫০জন শ্রমিক কেরলে আটকে রয়েছেন এবং বাড়ি ফিরতে চেয়ে তাঁরা ভিডিও বার্তায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জের ২৯জন শ্রমিক তমলুকের ব্লকের নীলকুণ্ঠ্যার বিবেকানন্দ মোড়ে আটকে ছিলেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশে তাঁদের শনিবার এসবিএসটিসি বাসে মুর্শিবাদাদে পাঠানো হয়।
ভিনরাজ্য থেকে ফিরে এসেও অনেকে ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড উপেক্ষা করে বাড়ির বাইরে বেরচ্ছেন বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগে নাজেহাল অবস্থা প্রশাসনের। কোলাঘাটের কাঁটাবনী গ্রামের ১৭বছরের শেখ সঞ্জু ওড়িশা থেকে ফিরে জ্বর ও কাশিতে কাহিল হয়ে শুক্রবার পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে রেফার করা হয়। এরপর নিয়ে যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে শনিবার স্বাস্থ্যদপ্তরের একটি গাড়িতে তমলুক জেলা হাসপাতালে আনা হয়। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে বেলেঘাটা আইসি হাসপাতালে রেফার করে দেন। এরপরও গাড়ি জোটেনি। শেষমেশ বাড়িতে থাকতে হয়েছে করোনা সন্দেহের তালিকায় থাকা ওই কিশোরকে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত এবং ক্ষুব্ধ এলাকবাসী।