প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
গোটা রাজ্য তথা দেশবাসীর কাছে চ্যালেঞ্জ আকারে এই সুযোগ এনে দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট (এইচএমআই)। বাড়িতে বসেই নিতে হবে এইচএমআই-এর ‘টোয়েন্টি ওয়ান ডে বিগ বস ইন্ডোর চ্যালেঞ্জ’-ফাইট এগেনস্ট কোভিড-১৯। ছোট পর্দার জনপ্রিয় গেম শো ‘বিগ বস’-এর ধাঁচে এই চ্যালেঞ্জ শুরু হয়েছে শনিবার (২৮ মার্চ) থেকে, চলবে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
কী করতে হবে চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারীদের? এইচএমআই সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন পর্বে বাড়িতে থাকার সময় দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং সময় কাটানোর ভিডিও বা ছবি রোজ আপলোড করতে হবে তাদের ফেসবুক পেজে (@HMIDARJEELING)। লকডাউন পর্ব শেষে সেরা ভিডিও বা ছবি আপলোডকারীর মিলবে পুরস্কার। প্রথম পুরস্কার সপরিবারে পাঁচ রাত/চারদিন দার্জিলিংয়ে থাকার সুযোগ। দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে রয়েছে তিন রাত/দু’দিন শৈলশহরে সময় কাটানোর সুযোগ। তৃতীয় পুরস্কার প্রাপক পাবেন এইচএমআই-এর ট্র্যাকস্যুট। চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে সেরা ১০ জন ভিডিও বা ছবি প্রেরক পাবেন এইচএমআই-এর স্মারক ও ব্যাজেস। এছাড়াও চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়া প্রত্যেককে দেওয়া হবে শংসাপত্র।
কিন্তু, হিসেবে তো চ্যালেঞ্জ তো মোট ১৮ দিনের। ২১দিনের চ্যালেঞ্জ হবে কীভাবে? এইচএমআই কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী যেদিন থেকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন সেদিন থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত তা ২১ দিনেরই হয়। এইচএমআই-এর প্রিন্সিপাল গ্রুপ ক্যাপ্টেন জয়কিষান বলেন, চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারীরা ২৫ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন পর্বে ঘরে সময় কাটানোর ভিডিও বা ছবিও আপলোড করতে পারেন।
এইচএমআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষ ছাড়াও সংস্থার বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ ও পাঠরত পড়ুয়ারাও এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারেন। এসবের পাশাপাশি ২১ দিনের লকডাউন পর্ব নিয়ে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেছে এইচএমআই। সেরা রচয়িতার প্রবন্ধ ছাপা হবে সংস্থার বার্ষিক ম্যাগাজিনে। সেরা রচয়িতা আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিনামূল্যে পাবেন এইচএমআই-এর ম্যাগাজিন। প্রবন্ধ পাঠাতে হবে মেইল করে। মেইলের ঠিকানা hmidarj@gmail.com।
কেন এই উদ্যোগ? এইচএমআই-এর প্রিন্সিপালের কথায়, মারণ ভাইরাস করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে জিততে গেলে লকডাউনই একমাত্র উপায়। ২১ দিন গৃহবন্দি হয়ে থাকাটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করলে বিষয়টি মনোগ্রাহী হবে। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ এবং তা পূরণ করে পুরস্কার জেতাটা বেশ আকর্ষণীয়। তাছাড়া ফেসবুকে লকডাউন পর্বে বাড়িতে থাকার বিষয়টি ভিডিও বা ছবি আকারে আপলোড করাটা, সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশে এই উদ্যোগ নিয়েছে এইচএমআই।