বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
বৈঠকে সমীক্ষা রিপোর্ট পেশের পর অধ্যাপিকা ইন্দিরা চক্রবর্তী এবং ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ উভয়ই বলেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শহরের সিংহভাগেরও বেশি খাবার নিরাপদ।
সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে কলকাতাকে ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১০৪টি রাস্তার মোট ১৭৬৪ জন খাবার প্রস্তুকারক ও বিক্রেতার উপরে সমীক্ষা করা হয়। ১ নম্বর জোন ভারতীয় জাদুঘর চত্বর (১০টি রাস্তা), ২ নম্বর জোন নিউ মার্কেট (১০টি রাস্তা), ৩ নম্বর জোন লিন্ডসে স্ট্রিট (৮ টি রাস্তা), ৪ নম্বর জোন হাতিবাগান থেকে শ্যামবাজার (৯টি রাস্তা), ৫ নম্বর জোন কালীঘাট মেট্রো স্টেশন থেকে হাজরা মোড় (৮ টি রাস্তা), ৭ নম্বর জোন গড়িয়াহাট থেকে গোলপার্ক (৮ টি রাস্তা), ৮ নম্বর জোন যাদবপুর (১১টি রাস্তা), ৯ নম্বর জোনে (ডালহৌসি চত্বর), ১০ নম্বর জোন তালতলা (১২টি রাস্তা)। সমীক্ষকরা জানিয়েছেন, লেভেল ১ ও লেভেল-২ এই দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে গোটা সমীক্ষাটিকে। লেভেল-১ এর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ইতিমধ্যেই একবার শহরের রাস্তায় খাদ্য বিক্রেতাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারপর তাঁরা কতটা সচেতন হয়েছেন, সেগুলি সহ মোট ৪২টি সূচকের উপরে নির্ভর করে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই সবকিছুর ভিত্তিতে আবার ফের ট্রেনিং দেওয়া হবে হকারদের। তারপর লেভেল-২ এর সমীক্ষা চালানো হবে। আগামী ছ’মাসের মধ্যে আরও দু’বার এই সমীক্ষা করে দেখা হবে, স্ট্রিট ফুড প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতারা কতটা সচেতন হয়েছেন। লেভেল-২ এর সমীক্ষার পর তাঁদের ‘এক্সেলেন্ট’, ‘ভেরি গুড’, ‘গুড’ তকমা দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাঁদের সার্টিফিকেটও দেওয়া হবে। যে সার্টিফিকেট দেখে ক্রেতারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে, কোন খাবারটি খুব ভালো। আর কোন খাবারটির গুণমান তুলনামূলকভাবে কম। এই সমীক্ষা ও তারপর সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য হকারদের নিজেদের মধ্যেই একটা প্রতিযোগিতা শুরু হবে। যার জেরে স্ট্রিট ফুডের মানোন্নয়ন হবে বলে মনে করছে কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ।