বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান বলেন, জেলা পরিষদের বাজেট পেশ ও পাশ করনোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উন্নয়নমুখী বাজেট আমরা পেশ করব। জেলা পরিষদের কৃষি ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে বাজেট পেশ ও পাশের কাজ হয়ে যাবে। রাজ্য সরকারের সামগ্রিক উন্নয়নমুখী পরিকল্পনাকে আদর্শ করে হুগলি জেলা পরিষদের বাজেটে বিশেষ কিছু বিষয়ের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ও কৃষি পরিকাঠামো তার মধ্যে অন্যতম। সমৃদ্ধ ইতিহাস হুগলির পথে প্রান্তরে ছড়িয়ে আছে। সেদিকে নজর রেখে এবারের বাজেটে পর্যটনমুখী একটি ভাবনার প্রতিফলন থাকবে। সার্বিকভাবে আয় বাড়ানো ও নতুন কর্মসংস্থানের দিশা দেওয়ার প্রয়াস করা হবে।
হুগলি জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের বাজেট নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্ত স্থায়ী সমিতি থেকে বাজেট পরিকল্পনা দেওয়ার নির্দেশও জারি করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেগুলি সভাধিপতির কাছে পৌঁছেও গিয়েছে। সেই সমস্ত পরিকল্পনা থেকেই সার্বিকভাবে জেলা পরিষদের আসন্ন বাজেটের রূপরেখার একটি প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গিয়েছে।
জেলা পরিষদ কর্তাদের দাবি, এবারের বাজেট গত কয়েক বছরের থেকে আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা। সামনেই কোনও নির্বাচন না থাকায় স্থায়ী পরিকাঠামো উন্নতির জন্যে এবারের বাজেটে লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। মূলত দু’টি ক্ষেত্রে এই কাজ করা হবে। জেলার সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা মূলত জাতীয় সড়ক নির্ভর হওয়ায় আন্তঃগ্রাম যোগাযোগে এবং মহকুমা থেকে মহকুমায় যোগাযোগের উপরে জোর দেওয়া হবে। কৃষিপণ্য নির্ভর এই জেলার ক্ষেত্রে কৃষিতে স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি জোর দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে এবারের বাজেটে জেলাস্তরে পর্যটন শিল্প বিকাশের দিশা থাকার সম্ভাবনা আছে। জেলা পরিষদের নিজস্ব আয় বাড়ানো, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পর্যটন শিল্পকেই হাতিয়ার করা হতে পারে। তবে ঠিক কীভাবে তা করা হবে প্রাক বাজেটপর্বে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি জেলা পরিষদ কর্তারা।