কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল থেকেই হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি সহ বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকার বিদ্যুৎ বিছিন্ন করে দেওয়া হয়। শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বিধ্বংসী ঝড়ে দেদার গাছ ও ইলেকট্রিক পোস্ট ভেঙে পড়ে। এরফলে রবিবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে রয়েছে। রাস্তার এক হাত অন্তর গাছ পড়ে থাকায় ত্রাণ পাঠানোর কাজেও সমস্যায় পড়ছেন বিডিও অফিসের কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত রাস্তা থেকে গাছ সরানো জরুরি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তা থেকে গাছ সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী লাগানো হয়নি। বহু পঞ্চায়েত গাছ সরানোর বিষয়ে নিষ্ক্রিয়। বাধ্য হয়ে অনেক জায়গায় গ্রামবাসীরা নিজেরাই রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজে হাত লাগাতে বাধ্য হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালির জঙ্গল ও নদী ঘেরা বিভিন্ন দ্বীপে ত্রাণের সংকট শুরু হয়েছে। এদিন সকাল থেকে রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে এলাকায় ঘোরেন। তাঁরাও রাস্তা বন্ধ থাকায় বিভিন্ন গ্রামে শেষপর্যন্ত ঢুকতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রী সংসদ সদস্যের উপর মানুষের ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দা তপন সর্দার, গদাধর মিদ্যা সহ অন্যান্যরা বলেন, ভোটের সময় এসে সংসদ সদস্য বিপদে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল। ঝড়ে আমাদের দিশেহারা অবস্থা হয়েছে। এই বিপদের দিনে কেউ পাশে নেই। ত্রাণ পাচ্ছি না। রাস্তায় গাছপালা পড়ে থাকায় বাড়িতে কার্যত বন্দি হয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সান্ডেলবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, আমার গ্রাম সংসদ এলাকায় ১২টি ঘর একেবারে ভেঙে গিয়েছে। শতাধিক বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। পর্যাপ্ত ত্রিপল ও ত্রাণ না থাকায় মানুষকে দেওয়া যাচ্ছে না।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমরা সকলে দুর্গত মানুষের পাশে রয়েছি। রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে ঘুরেছি। যুদ্ধকালিন তৎপরতায় রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তা পরিষ্কার সম্পূর্ণ হলে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে যাবে। সংসদ সদস্য সোমবার বসিরহাটে যাবেন।