কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
সিইএসসি সূত্রের খবর, পুলিসকে দেওয়া চিঠিতে কলকাতা পুরসভার ১৩৪, ১৩৫, ১৩৭ এবং ১৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ চুরির বাড়বাড়ন্তের কথা বলা হয়েছে। এক কর্তার কথায়, পুলিসের সহযোগিতায় এইসব এলাকায় হুকিং খুলে দেওয়ার অভিযান নিয়মিত চালানো হলেও তাতে ফল মিলছে না। বেআইনিভাবে নেওয়া বিদ্যুতের ব্যবহার ছেড়ে বাসিন্দারা যাতে বৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারেন, তার জন্য ‘স্পেশাল টাস্ক ফোর্স’ তৈরি করে কাজ করা হলেও, তা থেকে তেমন লাভ হচ্ছে না। ক্যাম্প করা হচ্ছে। প্রচার করা হচ্ছে। তারপরও পরিস্থিতির বদল তেমন হচ্ছে না। যেসব বাড়িতে অবৈধভাবে বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে, তার ঠিকানা সহ যাবতীয় তথ্য জানানো হয়েছে পুলিসকে।
সিইএসসির এক কর্তা বলেন, বিদ্যুৎ চুরিতে সংস্থার যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই এতে ওখানকার বাসিন্দাদেরও বিপদের আশঙ্কা থাকছে। কারণ, এই বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা সুরক্ষা বিধি না মেনেই হুকিং করছে। এর জেরেই গত আগস্ট মাসে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকার বাসিন্দা। অন্যজন গার্ডেনরিচ থানা এলাকার। পুলিসকে দেওয়া চিঠিতে তাঁদের ঠিকানা সহ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সংস্থার আর এক আধিকারিক বলেন, ওই এলাকায় আরও উন্নত মানের পরিষেবা দিতে অত্যাধুনিক তার (কো-অ্যাক্সিয়াল কেবল) এবং পুরনো পিলার বক্স বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু, বেআইনি ব্যবসা চৌপাটের আশঙ্কায় এই কাজে বাধা দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। বিদ্যুৎ চুরির সঙ্গে যুক্তদের ব্যাপারেও বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, কীভাবে বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে, তার ছবিও পুলিসকে দেওয়া হয়েছে।
কী বলছে পুলিস? বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে কলকাতা পুলিসের ডিসি (পোর্ট) ওয়াকার রেজা বলেন, বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগ এলে কেস করা হয়। অভিযানে সাহায্য চাইলে, সাহায্য করা হয়। কী বলছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়? তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকার বিধায়কের সঙ্গে কথা হয়েছে। ফের সিইএসসি এবং বিধায়ককে নিয়ে আলোচনা করব। এইভাবে বিদ্যুতের ব্যবহারে বিপদের আশঙ্কা থাকে।
চলছে বিদ্যুৎ চুরি। -নিজস্ব চিত্র