নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যাদবপুরের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুললেন তাঁরই ছাত্রছাত্রীরা। মূলত দুর্ব্যবহার, অসহযোগিতা এবং ভুলপথে চালিত করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি নাকি স্কলারশিপের আবেদনে সই করছেন না, পরীক্ষার ফর্ম ফিল-আপ নিয়েও তথ্য দেননি, এরকম বহু অভিযোগ রয়েছে। ২৪ অক্টোবর উপাচার্যের দপ্তরে এই অভিযোগ জমা পড়েছে। ক্লাসে বাংলা বলায় অনগ্রসর শ্রেণীভুক্ত এক পড়ুয়াকেও নাকি ব্যঙ্গ করেছেন তিনি। ওমপ্রকাশ মিশ্র সম্প্রতি কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যাওয়ার পর দলের শিক্ষা সেলের সর্বোচ্চ দায়িত্বে আনা হয়েছে। তাঁর ঘনিষ্ঠমহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই অভিযোগের পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকদের একটি অংশও এই অভিযোগে মদত দিয়ে থাকতে পারে। স্নাতকোত্তরের এক ছাত্র তাঁকে দিয়ে কিছু সই করাতে গিয়েছিলেন, যাতে প্রমাণিত হয় তিনি ‘বোনাফায়েড স্টুডেন্ট’। ওমপ্রকাশবাবু তাঁকে ‘বোনাফায়েড’ অর্থ জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলতে পারেননি। তাতেই দীর্ঘ ৩২ বছরের অধ্যাপক ওমপ্রকাশবাবু ক্ষুব্ধ হন। তাঁকে ডিকশনারিতে দেখে এর অর্থ জেনে আসতে বলেন। আরেক ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, তাঁকে পরীক্ষার ফর্ম ফিল-আপ করা নিয়ে ভুলপথে চালিত করেছেন ওমপ্রকাশবাবু। তাতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁকে। ওমপ্রকাশবাবু ঘনিষ্ঠমহলে হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, এটা তো ছাত্রছাত্রী এবং পরীক্ষা কন্ট্রোলারের বিষয়। এখানে বিভাগীয় প্রধানকে কেন কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে? এ বিষয়ে ওমপ্রকাশবাবু বলেন, কোনও ছাত্রছাত্রী অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসেনি। তবে, অভিযোগ জমা পড়ার কথা শুনেছি। উপাচার্য ডেকে পাঠালে যা বলার বলব। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস একটি সেমিনারে যোগ দিতে দিল্লিতে রয়েছেন। তিনি বলেন, দু’পক্ষকে আলোচনায় বসিয়ে মিটিয়ে বিষয়টি নেওয়া যাবে বলে মনে হয়। সেই দায়িত্ব সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে দেওয়া হয়েছে।