সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
বাস মালিকদের বক্তব্য, পঞ্চম দফার ভোটেও কলকাতা ও সংলগ্ন জেলার বাস ব্যবহার করা হয়েছিল। গত ৭ মে ভোরের মধ্যেই সেই সব বাস ভোটের কাজ মিটিয়ে ফিরে আসে। সেই পর্বেও রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। বাস মালিকরা জানিয়েছেন, যে সব জায়গায় পরের দফায় ভোট রয়েছে, সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভার জেরেও বাস ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তার জেরেও কমছে বাসের সংখ্যা।
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, কলকাতা থেকে দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় কিছু বাস চলাচল করে। ষষ্ঠ দফার ভোটে সংশ্লিষ্ট জেলার বাস তো বটেই, এইসব রুটেও বাসের সংখ্যা কমেছে। পুলিস যে সব বাস রিক্যুইজিশন করেছিল, সেগুলি উঠতে শুরু করেছে। বাকি বাসও আজ, শুক্রবার থেকে উঠতে শুরু করবে। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কলকাতা ও হাওড়ার স্বল্প দূরত্বের বাসও ষষ্ঠ দফার ভোটে ব্যবহৃত হবে। নিরাপত্তা বাহিনীর যাতায়াতে পুলিস এইসব বাস রিক্যুইজিশন করেছে। এইসব বাস ১২ মে রাতে বা পরের দিন ভোরে ‘রিলিজ’ হবে। কাজেই বাসগুলি ১৩ মে’র আগে কোনওভাবেই রুটে ফিরবে না।
মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বোস বলেন, ষষ্ঠ দফার ভোটে শহরের মিনিবাস নেওয়া হয়নি। শেষ দফার ভোটের জন্য আগামী ১৭ মে মিনিবাস উঠতে শুরু করবে। ১৯ মে রাতে সেই সব বাস ফিরবে। বাস মালিকদের বক্তব্য, ভোটের ‘ডিউটি’ করার পর ২০ মে সেই সব বাস চালাতে চাইবেন না বহু চালক। সেক্ষেত্রে পুরোপুরি পরিষেবা স্বাভাবিক হতে ২১ মে হয়ে যাবে। মালিকদের একাংশের বক্তব্য, যে বাসকর্মীদের আদি বাড়ি ভিনরাজ্যে, এবার সাত দফায় ভোট হওয়ায় তাঁরা দফায় দফায় বাড়ি যাচ্ছেন। তারও প্রভাব পড়ছে রুটে।