মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
পুজোর ভ্রমণ নিয়ে কথা হচ্ছিল ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন বসুর সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, যত দিন যাচ্ছে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। করোনা ভাইরাস সরাসরি প্রভাব ফেলেছে মানুষের স্বাস্থ্য এবং পকেটে। বহু মানুষের কাজকর্ম বন্ধ। ফলে গ্রীষ্ম-বর্ষা তো ছেড়েই দিন, পুজোর সময় কতটা সুষ্ঠুভাবে ভ্রমণের আয়োজন করা যাবে, তা নিয়ে অনেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তাই পুজোর ভ্রমণসূচি নিয়ে অনেকেই এখন কিছু ভাবছেন না। এছাড়াও দূরপাল্লার ট্রেনের বুকিং চালু হয় চার মাস আগে থেকে। তারও এক-দু মাস আগে থেকে ট্যুরের পরিকল্পনা করতে হয়। সেই জায়গায় এখন অনেকেই দোলাচলে রয়েছেন। এই অবস্থা দ্রুত কেটে যাক, এটাই এখন চান ট্যুর অপারেটররা।
পুজোর ভ্রমণ নিয়ে কথা হচ্ছিল ব্যানার্জি স্পেশাল-এর কর্ণধার মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, আসলে হঠাৎ করে লকডাউনের জন্য বহু টাকার ক্ষতি হল। এই ধাক্কা সামলাতে সময় লাগবে। কতটা ক্ষতি হল তা বলে বোঝাতে পারব না। পুজোয় কী হবে এখনও অনিশ্চিত। আমাদের পুজোর বুকিং বাংলা নববর্ষ থেকে শুরু হয়ে যায়। দুই-তিনদিনের মধ্যেই ৫০% বুকিং হয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে দেরিতে হলেও পুজোয় ট্যুর করার জন্য ঝাঁপাব। আশা করছি কিছু ট্যুর হবে।
কুণ্ডু স্পেশাল-এর কর্ণধার সৌমিত্র কুণ্ডু বলেন, মানুষ বেড়াতে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব। তবে করোনার সমস্যা মিটছে কি না দেখতে হবে আগে। জুন মাসের শেষে কিংবা জুলাই মাসের প্রথম দিকেও যদি পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যায়, তাহলে পুজোয় ট্যুর হবে। সে ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরেও অনেকে বেড়াতে যাবেন বলে আশা করছি। আমাদের গোটা বছরের জন্যই পরিকল্পনা তৈরি থাকে। তাই পুজোর পরিকল্পনা তৈরি। কিন্তু করোনার জন্য সেই পরিকল্পনায় কিছুটা অদল-বদল করতেই হবে। আগামী দু-এক মাস পর্যবেক্ষণ করা খুব জরুরি। যাবতীয় খোঁজখবর করেই আগামী দিনে ট্যুরের পরিকল্পনা করা হবে।