শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
প্রায় ৫০০ বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে মাটির চালাঘরে ডাকের সাজের দশভুজা পুজোর সূচনা করেন তালু ওঝা। মা এখানে সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আসেন। বাপ-ঠাকুরদার প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরটি ১১০ বছর আগে পাকা হয়েছে। সেই মন্দিরেই একচালার মূর্তি গড়ে চিরাচরিত রীতি মেনে পুজো চালিয়ে আসছে ওঝা পরিবার। মা এখানে বড় বোন নামে পরিচিত। সপ্তমী পুজোর দিন মাকে সাতরকম ভাজা, তরকারি, মিষ্টি ও পায়েস দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধিপুজোয় একটি ছাগ বলি দেওয়া হয়। এরপরই সেই বলির দা সহ ওঝা পরিবারের সদস্যরা ছোট বোনের মন্দিরে এসে বলিদান করেন। নবমীর দিনও একইভাবে প্রায় ২০০-র বেশি ছাগ বলি হয়। আশেপাশের গ্রামের অনেকে মানত করে এখানে ছাগ বলি দেন। পরিবারের বংশধর তথা তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি বিপ্লব ওঝা বলেন, সেই সময় আমাদের আর্থিক দুরাবস্থা চলছিল। মা স্বপ্নাদেশ দিয়ে পুজো করার আদেশ দিলেও কীভাবে সেই পুজো হবে তাও মা বলে দেন। মা স্বপ্নে ওষুধ দিয়ে গিয়েছেন। সেই ওষুধে বহু রোগ নিরাময় হয়।
ছোট বোন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সিংহবাহিনী। সন্তানদের দেবালয়ে রেখে মা এখানে একাই আসেন। সঙ্গে থাকে সিংহ ও অসুর। কথিত আছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে কোনও এক ব্রাহ্মণ ছোট বোনের এই রূপ স্বপ্নে দেখে পুজো শুরু করেন। পরবর্তীকালে এই পুজো নিজের কাঁধে তুলে নেন রাইজিবাবু নামে এক ব্যক্তি। আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে তিনি চট্টোপাধ্যায় পরিবারকে পুজোর দায়িত্ব দিয়ে অন্যত্র চলে যান। সেই থেকে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে পুজো চালিয়ে আসছে এই পরিবার। বর্তমান বংশধর উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই পুজোর বিশেষত্ব হল সপ্তমীর দিন মায়ের ভোগের সঙ্গে বুনোওল, লাল ডাটা ও কচুশাক লাগবেই। সেই অন্নভোগ এলাকার মানুষের মধ্যে বিলি করা হয়। অষ্টমীর দিন মাকে ক্ষীর, লুচি ও ফল দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়। নবমীতে ছাগ, আখ ও চালকুমড়ো বলি হয়। দশমীর রাতে দুই বোনকে পৃথকভাবে বাইচে চড়িয়ে প্রদক্ষিণ করিয়ে তীরপিতা নদীতে নিরঞ্জন দেওয়া হয়। নিজস্ব চিত্র