শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
এদিন বেলা ১১টা নাগাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ঢোকার মুখে একটি দোকান থেকে টুনুবাবু সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে একটি লরিকে পাশ কাটিয়ে পেরতে যান। তখনই যানজটে আটকে থাকা অন্য একটি লরি এসে তাঁকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা না ঘটলেও ফুটপাত দখলমুক্ত করার দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জাতীয় সড়ক ধরে প্রতিদিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গগামী কয়েকহাজার পণ্যবোঝাই লরি ও কয়েকশো বাস যাতায়াত করে। সড়কের দু’ধার ঘেঁষে স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান। এরই মধ্যে অবৈধভাবে দখল করে কয়েকশো টোটো, মোটরভ্যান, মারুতি ও অন্যান্য যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। তার উপরে যাত্রীবোঝাই বাসগুলি সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো করে। তখন দু’দিক থেকে যানবাহন চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তীব্র যানজটে হেঁটেও যাতায়াত করা যায় না। তা সত্ত্বেও পুলিসের নিয়মিত নজরদারি নেই বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে মরণফাঁদ সড়কের ওই অংশ। এর আগেও ঘিঞ্জি সড়কে চলাচল করতে গিয়ে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, রোগীর আত্মীয় অনেকেই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যখনই কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তখনই পুলিস সড়কের দু’ধার দখলমুক্ত করতে তৎপর হয়। পরে নজরদারির অভাবে অল্পদিনেই সড়ক ফের আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী মুক্তা শেখ বলেন, দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে সড়ক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা টোটো ও অন্যান্য যানবাহন। আমরা চাই প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। সেই সঙ্গে যান নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিস মোতায়েন করা হোক। হাসপাতালের গেটের সামনে মরণফাঁদ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন মেডিক্যালের এমএসভিপি ডাঃ পলাশ দাসও। তিনি বলেন, যেভাবে টোটো ও অন্যান্য যানবাহন জাতীয় সড়ক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে, তাতে অ্যাম্বুলেন্স আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা বেড়েই চলবে। রামপুরহাট থানার আইসি সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, আজ, শুক্রবার থেকেই জাতীয় সড়কের দু’ধারে অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে নামা হবে। টোটো বা অন্য কোনও যানবাহন সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেওয়া যাবে না।