পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
মালদহ জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, মামলা চলায় এতদিন আমরা নিয়োগের ব্যাপারে এগতে পারিনি। মামলা প্রত্যাহার হওয়ায় নিয়োগে আর তেমন কোনও বাধা নেই। সবদিক খতিয়ে দেখে দ্রুত এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তিনি বলেন, মালদহের দু’টি মহকুমা মিলিয়ে ৫০০’র বেশি শূন্যপদ রয়েছে। এদিকে, বামনগোলা ব্লকে ৯০ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। ওই ব্লকের দায়িত্বে থাকা সিডিপিও সঠিকভাবে কাজ করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলার বাকি অংশে তেমন কোনও সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য, গর্ভবতী ও প্রসূতি এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ‘সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প’ (আইসিডিএস) চালু হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় নির্দিষ্ট জনসংখ্যা পিছু একটি করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খোলা হয়। সেখানে কর্মী এবং সহায়িকা হিসেবে দু’জন করে মহিলাকে নিয়োগ করা হয়। মূলত সকালের দিকে কেন্দ্র খোলা থাকে। আগে মাইলো বা শস্য দানার গুঁড়ো, সাদা তেল, গুড় রান্না করে মা ও শিশুদের দেওয়া হতো। বর্তমানে অবশ্য খিচুড়ি, ডিম, সব্জি প্রভৃতি দেওয়া হয়। প্রাক্ প্রাথমিক স্তরে শিশুদের অক্ষর পরিচয় তথা পড়াশোনার হাতেখড়ি দেওয়ানো হয়। ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের গুরুত্ব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলায় থাকা শূন্যপদ পূরণ জরুরি বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পে নিয়োগের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করতে হয়। তাতে কে কে থাকবেন, তা সরকার নির্দিষ্ট করে দেয়। সেই মতো আমরা পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। এক্ষেত্রেও বিষয়টি সচ্ছতার সঙ্গে করা হবে। কেউ যাতে নিয়োগ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে না পারে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।