বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকার ফলে যাতায়াতেও সমস্যা হচ্ছে। বাইক ও ভুটভুটি চালকদের ক্ষেত্রেও এই একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও জমা জল থেকে রাতে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে। তা নিয়ে আতঙ্কিত এলাকার খুদে বাসিন্দারা। সদর এলাকারই নিকাশি ব্যবস্থার এমন হাল দেখে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা এখন কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের দাবি, সমস্যার কথা দীর্ঘদিন ধরে বারবার জনপ্রতিনিধিদের বলেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। তাঁদের কথায়, একটু বৃষ্টি হলেই পাড়া ডুবে যায়। আর জোর বৃষ্টি হলে তো সমস্যা আরও বাড়ে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সমস্যার কথা ব্লক প্রশাসনকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছে। আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের অনিতা সাহা বলেন, ওই এলাকায় নিকাশির সমস্যা রয়েছে। এলাকার মানুষের অসুবিধা হচ্ছে বলেও শুনেছি। আমরা চাই পঞ্চায়েতের সদস্যরা সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তাব জমা দিক। আমাদের তরফ থেকে এব্যাপারে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের আগেও বলা হয়েছে। আবারও বলা হবে।
আইহোর বিরোধী দলনেত্রী বিজেপির ললিতা হালদার বলেন, আমাদের গ্রামগুলির নিকাশির ব্যবস্থা সত্যিই খুব খারাপ। একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যাচ্ছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত তো এলাকার মানুষের কথা ভাবেই না। আমরা এই সমস্যা নিয়ে অতীতে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমরা এবার খুব দ্রুত এই বিষয়ে ব্লক প্রশাসনকেও চিঠি দেব।
আইহো গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার মণ্ডল পেশায় ভুটভুটি চালক। তিনি নিজে ওই খারাপ রাস্তার ভুক্তভোগী।
তিনি বলেন, এই নিকাশি সমস্যা তো আজকের নতুন কিছু নয়। দীর্ঘ বছরের সমস্যা এটি। ভোটের পর ভোট আসে। আমাদের অবস্থা একই থাকে। বৃষ্টি হলেই অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। আমি গাড়িতে মালপত্র নিয়ে যেতে পারি না। ইঞ্জিনে জল ঢুকে যায়। এলাকার এই একটা সাধারণ সমস্যা কেউ মেটাতে পারছে না। ব্লক প্রশাসনই হোক, জেলা পরিষদই হোক আর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষই হোক-বর্ষার আগেই সমস্যার সমাধান করা উচিত ছিল।