বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বর্মন, স্বপন দাস বলেন, নদীর ওপারে থাকা এলাকাগুলিতে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বসবাস করেন। তাঁরা ওই দু’টি ঘাট দিয়েই প্রতিদিন তাঁদের কাজে মাতালহাট বাজারে ও দিনহাটা শহরে যাতায়াত করেন। দু’টি সাঁকোই ভেসে গিয়েছে। বারবার ওই দু’টি ঘাটে কংক্রিটের সেতু তৈরির জন্য প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে দাবি জানালেও কোনও কাজ হয়নি।
বাইশগুঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা, ভবানী বর্মন, শ্যাম সিং গ্রামের বাসিন্দা বীরবল বর্মন বলেন, এলাকার লোকজন কৃষিজীবী। তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে, চাষ আবাদের জন্য সার ও অন্যান্য সামগ্রী আনতে দিনহাটা শহরে যেতে হয়। সাঁকো ভেসে যাওয়ায় যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়েছে। এখন লকডাউনের জন্য স্কুল বন্ধ কিন্তু স্কুল খুললে ছেলেমেয়েরা কী করে স্কুলে যাবে বুঝতে পারছি না।
স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া বলেন, একটি সেতু তৈরি করার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। করোনার কারণে লকডাউনের জন্য আমরা পিছিয়ে পড়েছি। তা না হলে এতদিনে সেখানে ইঞ্জিনিয়াররা এসে পরিদর্শন করে যেতেন।
ওই সাঁকো দিয়েই দিনহাটা শহরে যাতায়াত করেন ওসব গ্রামের বাসিন্দারা।
কৃষি নির্ভর এলাকা হওয়ায় সেখানকার কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রির জন্য এখন কয়েক কিমি ঘুরে শহরে যাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটা-১ ব্লকের মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাজের ঘাট ও ধরণী শর্মার ঘাট দিয়ে নদীর ওপারে থাকা কয়েক হাজার মানুষ রোজ যাতায়াত করেন। মাতালহাটে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, হাইস্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকায় বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারপার হতে হয়। ওই দু’টি ঘাটে বাম আমল থেকে সেতুর দাবি উঠলেও এখনও সেতু করা হয়নি। অতীতে সাহাজের ঘাট দিয়ে নৌকায় নদী পারাপার হতে গিয়ে নৌকা ডুবে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত বাসিন্দারা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছিল। তারপর অনেকে নেতা-মন্ত্রী সেখানে এসে সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আজও বুড়া ধরলা নদীর ওই ঘাটে সেতু তৈরি হয়নি।