স্বাস্থ্য বেশ ভালোই থাকবে। আর্থিক দিকটিও ভালো। সঞ্চয় খুব ভালো না হলেও উপার্জন ভালো হবে। ... বিশদ
টানা দু’মাসের বেশি লকডাউনে লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ধীরে ধীরে দোকানপাট খুললেও বিক্রিবাটা খুব একটা হচ্ছে তা নয়। প্রতিবারই জামাইষষ্ঠীর দিন ব্যাগ হাতে শ্বশুরদের ভিড় হয় শিলিগুড়ি শহরের বিধান মার্কেট, চম্পাসারি বাজার, হায়দরপাড়া বাজার, সুভাষপল্লি বাজার কিংবা ফুলেশ্বরী বা মহাবীরস্থানের ডিআই ফান্ড মার্কেটের মাছের দোকানগুলিতে। পাশাপাশি পাড়ার পাড়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাংস ও মিষ্টির দোকানগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে। এবার চেনা সেই ভিড় না থাকলেও তবে আর পাঁচটা দিনের চেয়ে এদিন বিক্রি খানিকটা বেড়েছে, এমনটাই দাবি ব্যবসায়ীদের।
শিলিগুড়ির রবীন্দ্রনগরের মিষ্টি বিক্রেতা সোনা ঘোষ বলেন, এমনিতে বিক্রিবাটা খুব একটা নেই তাই এবার জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে কম করেই মিষ্টি বানিয়েছিলাম। ভালো বিক্রির আশায় রসগোল্লা, ক্ষীরদই, কমলাভোগ, রসগোল্লা একটু বেশি করেই বানাই। মোটামুটি সব ধরনের মিষ্টিই বিক্রি হয়েছে। মোটের উপর তাই আমি খুশি।
সেভক রোডের আরএক প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানের মালিক জানিয়েছেন, লকডাউনে কাজ না থাকায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। তাই বাজার খুললেও বিক্রিবাটা কম হচ্ছে। জামাইষষ্ঠীতে অনেক বাড়ির জামাই বাইরে থেকে আসতে পারেননি। তাই অন্যান্যবারের তুলনায় এবার বিক্রি যে কম হবে সেটা আঁচ ছিলই। সেইজন্য কম করে মিষ্টি বানানো হয়েছিল।
অন্যদিকে জামাইষষ্ঠীতে মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ব্রয়লার কিনতে এসেও হাত পুড়ছে মধ্যবিত্ত বাঙালির। এদিন শিলিগুড়ির বাজারে গোটা ব্রয়লার মুরগি ছিল ১৯০ টাকা প্রতি কেজি। অন্যদিকে কাটা মাংস বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। পাঁঠার মাংসের দামও ছিল প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা। এই পরিস্থিতিতে জামাইদের পাতে মাছ তুলে দিতে মাছের বাজারে ভিড় জমিয়েছিলেন অনেক শ্বশুরমশাই। রুই, কাতলার পাশাপাশি এদিন বিক্রি হয়েছে ইলিশ মাছও।
শিলিগুড়ি রেগুলেটেড ফিস মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাপি চৌধুরী বলেন, জামাইষষ্ঠীতে অধিকাংশ মাছই বিক্রি হয়েছে। অন্ধ্র ও উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা রুই, কাতলার পাশাপাশি দেশি মাছের বিক্রি এদিন যথেষ্ট ভালো ছিল। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৬৫০ টাকায়। ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম কেজি প্রতি ছিল ১১০০-১২০০ টাকা। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন বিক্রি খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় আমরা সকলেই খুশি।
লকডাউনের জেরে ক্রমশ ধুঁকছে অর্থনীতি। দোকানপাট বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতির বদল ঘটাতে তাই দোকানপাট খোলা হলেও ক্রেতা তেমন দেখা যাচ্ছিল না। যদিও জামাইষষ্ঠীর কল্যাণে একটু হলেও বিক্রিবাটা বাড়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।