স্বাস্থ্য বেশ ভালোই থাকবে। আর্থিক দিকটিও ভালো। সঞ্চয় খুব ভালো না হলেও উপার্জন ভালো হবে। ... বিশদ
কুলগাঁও জেলার কাইমোর অবনপোরায় জঙ্গি উপস্থিতির খবর পেয়ে শনিবার ভোররাতে অভিযানে নামে সেনাবাহিনীর ১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের যৌথ বাহিনী। সন্দেহজনক এলাকায় পৌঁছতেই বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যুত্তর দিতেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। নিকেশ করা হয় দুই হিজবুল জঙ্গিকে। দুপুরের দিকে গুলির লড়াই শেষ হয়। সংঘর্ষ স্থল থেকে উদ্ধার করা হয় প্রচুর অস্ত্র। কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, নিহত দুই জঙ্গির পরিচয় জানার কাজ চলছে।
যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দুই জঙ্গির নাম শাকির আহমেদ ইতো এবং প+রিয়াজ আহমেদ পণ্ডিত। দু’জনেই স্থানীয় বাসিন্দা। করোনার প্রকোপের জেরে এখন স্থানীয় জঙ্গিদের মৃতদেহ প্রশাসনই সমাধিস্থ করছে, যাতে শেষযাত্রায় জনসমাগম না হয়। এই ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পাশাপাশি, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পুলওয়ামায় বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির মালিককে শুক্রবারই চিহ্নিত করেছিল পুলিস। নাম হিদায়েতুল্লা মালিক। সোপিয়ান জেলার সরতপোরার ওই বাসিন্দা হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য। জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের এক আধিকারিকের দাবি, ‘গত বছরের জুলাই মাসে জঙ্গিগোষ্ঠীতে নাম লিখিয়েছিল হিদায়েতুল্লা। একাধিক নাশকতার ঘটনায় পুলিস তাকে খুঁজছে।’
পাশাপাশি পুলিস জানিয়েছিল, বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটির নম্বর প্লেট ভুয়ো। সেটিরও সন্ধান মিলেছে। জানা গিয়েছে, স্যান্ট্রো গাড়িটিতে লাগানো ‘জেকে ০৮বি ১৪২৬ ’আসলে একটি স্কুটারের নম্বর। হিদায়েতুল্লাকে পাওয়া না গেলেও, আপাতত তার ভাই পুলিসের হেফাজতে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের দু’দিনের মাথায় দুই হিজবুল জঙ্গিকে নিকেশ করে এই জঙ্গি সংগঠনকে বড়সড় ধাক্কা দিল নিরাপত্তা বাহিনী। বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার রাজপোরার আয়েগুনদ এলাকায় ৪৫ কেজি আইইডি বোঝাই ওই গাড়িটিকে আটকায় নিরাপত্তা বাহিনী। প্রথমে ব্যারিকেড ভেঙে পালানোর চেষ্টা করলেও, গুলির মুখে পড়ে চম্পট দেয় চালক। সেও সক্রিয় হিজবুল জঙ্গি বলে জানতে পেরেছে পুলিস। তবে জঙ্গিদের ঠিক কী উদ্দেশ্য ছিল, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিস। আইজিপি বিজয় কুমার বলেন, ‘বিগত এক সপ্তাহ ধরে আমাদের কাছে ইনপুট আসছিল, জয়েশ আর হিজবুল মিলে বড়সড় আত্মঘাতী হামলার ছক কষছে। নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালাতে পুলওয়ামার লেথপোরার ধাঁচে গাড়ি বোমা ব্যবহার করা হবে বলেই খবর ছিল আমাদের কাছে। বুধবার একদম সুনির্দিষ্ট ইনপুট আসে। তারপরই পুলওয়ামায় নাকা চেকিং শুরু করা হয়। তাতেই এতবড় সাফল্য মিলল।