স্বাস্থ্য বেশ ভালোই থাকবে। আর্থিক দিকটিও ভালো। সঞ্চয় খুব ভালো না হলেও উপার্জন ভালো হবে। ... বিশদ
স্থানীয়রা জানান, ১০০ দিনের কাজ, অনেক পরিযায়ী শ্রমিকের রেশন কার্ডের কাজ, গ্রাম পঞ্চায়েতে জিআর দেওয়া, ত্রাণ বণ্টন সহ সব ধরনের পরিষেবা এদিন বন্ধ ছিল। অনেকেই অফিসে এসে ঘুরে যান। কবে অফিস খুলবে সেটাও বলার মতো লোক ছিল না।
স্থানীয় বাসিন্দা মাথাভাঙা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তৃণমূলের মজিরুল হোসেন বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে নয়ারহাটে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে। বুধবার ওই দুষ্কৃতীরাই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে ভাঙচুর করে। অফিসের কর্মীদের মারধর করে। এ নিয়ে পুলিসের কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে। দুষ্কৃতীরা এদিন সকালে নয়ারহাট বাজারে প্রকাশ্যে অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ফলে গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা অফিসে যাননি। প্রধানও অফিসে যাননি। এরফলে সাধারণ মানুষকে ১০০ দিনের কাজ সহ সরকারি পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহেশচন্দ্র বর্মনকে এদিন একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তাঁর ফোন স্যুইচঅফ থাকায় প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, নয়ারহাটে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর বা কর্মীদের মারধরের ঘটনায় আমাদের দলের কেউ যুক্ত নেই। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস কেন খোলেনি তা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষই বলতে পারবে।
মাথাভাঙা-১’র বিডিও সম্বল ঝা বলেন, নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে বুধবার ঝামেলা হয়েছে। আমার কাছে এ নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার অফিস বন্ধের বিষয়টি আমাকে কেউ জানাননি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।
প্রসঙ্গত, বুধবার নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের মাস্টার রোল বের করা নিয়ে গণ্ডগোল হয়। অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অফিসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এমনকী পঞ্চায়েত কর্মীদের ওরা মারধর করে, নানাভাবে হুমকি দেয়। গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বুধবারই মাথাভাঙা থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানায়। ওই ঘটনায় পুলিস এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই দিন গ্রাম পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টকেও মারধরও করা হয়েছিল। ফলে কর্মীরা নিরাপত্তায় অভাব বোধ করে এদিন কেউ অফিসে যাননি।