ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া টাউনশিপের একটি কারখানা থেকে বিপুল সংখ্যক ভোজ্য তেলের টিন এবং পাউচ ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মাঝপথে ট্রাকচালক ও খালাসি যোগসাজশ করে তা পাচারের ফন্দি আঁটে। গাজোল থানার পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই তেলগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে। ঘটনায় চালক এবং খালাসিকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। যদিও প্রায় ১০ শতাংশ চোরাই তেল পুলিস এখনও উদ্ধার করতে পারেনি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস বাকি তেল উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল আব্দুল করিম এবং আলি উল আলাম। ধৃতদের প্রত্যেকেরই বাড়ি ফারাক্কার ঝারপুকুরিয়া গ্রামে।
এবিষয়ে জেলার ডেপুটি পুলিস সুপার (আইনশৃঙ্খলা) শুভতোষ সরকার বলেন, ধৃত চালক ও খালাসি মিলে চক্রান্ত করেছিল। হলদিয়া থেকে ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে মালদহে তেল নিয়ে আসা হচ্ছিল। পথেই তারা তেলের টিন ও প্যাকেটগুলি গোপন ডেরায় হাপিশ করে দেয়। পরে তাদের চাল ভেস্তে দিয়ে আমরা দু’জনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি চোরাই তেলের অনেকটাই উদ্ধার করেছি। এখনও কিছু পরিমাণ তেল উদ্ধার করা যায়নি। খুব দ্রুত সেগুলিও উদ্ধার করা হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।
গাজোল থানার ওসি হারাধন দে বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ট্রাক চালক এবং খালাসিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কালিয়াচকের ডাঙা গ্রাম থেকে আমরা বিপুল পরিমাণে ভোজ্য তেল বাজেয়াপ্ত করেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিস কর্তা বলেন, ট্রান্সপোর্টের আড়ালে মালিকের চোখে ধুলো দিয়ে কারখানা থেকে তেল পাচার করার কৌশল নেওয়া হচ্ছিল। সেগুলি ভিন জেলা তো বটেই এমনকি বাংলাদেশে পাচারেরও ছক থাকতে পারে। আমরা সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আঠারো মাইল টোল প্লাজার কাছে এসে ট্রাক হাইজ্যাক করার নাটক করে চালক ও খালাসি। তেলগুলি লুকিয়ে ফেলে তারা। পরে তারা ছোট ট্রাকে গাজোল চলে আসে। সেখানে নিজেরাই রাস্তার একপাশে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে থাকার ভান করে। পুলিস খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বয়ানে অসঙ্গতি মিললে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিস। জেরা করে কালিয়াচকের ডাঙা গ্রাম থেকে ১৫ কেজি ওজনের ২৮০ টিন তেল বাজেয়াপ্ত করে। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক পাঁচ লিটার, এক লিটার ও পাঁচশ’ মিলিলিটার ভোজ্য তেলের পাউচ পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। উদ্ধার করা তেলের পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার লিটার।