ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাথাভাঙার ভারত-বাংলাদেশের এক সীমান্ত আউট পোস্টের আধিকারিক জানিয়েছেন, দিনে-রাতে সর্বক্ষণই জওয়ানরা টহল দিচ্ছেন। মাঝেমধ্যেই পাচার করার জন্য মজুত করা সামগ্রী উদ্ধার করা হচ্ছে। পুলিসের হাতে পাচারকারীদের তুলেও দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তে জওয়ানরা নজরদারি চালালেও সীমান্ত থেকে দূরে দিনের আলোতেই গোরু জড়ো করে রাখা হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। তাঁরা সক্রিয় হলে পাচারকাজ করতে চোরাচালানকারীরা সাহস পাবে না।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, আমাদের কাছেও রিপোর্ট এসেছে শীতে কুয়াশার সুযোগে সীমান্ত এলাকায় পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। আমরা সর্তক আছি। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি করে বিএসএফ। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। সম্প্রতি ঘোকসাডাঙা থানা সহ জেলার বেশকিছু থানা প্রচুর গোরু সহ ট্রাক উদ্ধার করেছে।
কোচবিহার জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কিছু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া না থাকার সুযোগকে শীতের মরশুমে পাচারকারীরা কাজে লাগাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সীমান্ত এলাকার কিছু কিছু জায়গায় আলোর অভাব রয়েছে। ঠান্ডা ও কুয়াশার দাপটে রাতের অন্ধকারে কাঁটাতারহীন ওসব জায়গা দিয়ে পাচারকারীরা গোরু সীমান্তের ওপারে নিয়ে যায়। শুধু গোরুই নয়, বিভিন্ন নেশার ওষুধও ওই পথ দিয়ে পাচার করা হয়। খেতের উপর দিয়ে গোরু নিয়ে যাওয়ায় ফসল নষ্ট হচ্ছে। এখন ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন সহ শীতকালীন সব্জিতে খেতে ভরে রয়েছে। ওসব নষ্ট হচ্ছে। পাচারকারীদের রোখার জন্য কেউ সাহস পায় না।
গত একমাসে কোচবিহার জেলার দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি ব্লকের সীমান্ত এলাকায় পাচারকারীদের হাত থেকে কয়েকশো গোরু সহ কাফ সিরাপ বিএসএফ জওয়ানরা উদ্ধার করেন। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা অনেক সময়ে সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানদের উপর আক্রমণের চেষ্টা করে। নদী সহ যেসব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই যেসব জায়গায় চোরাকারবারিরা কুয়াশার দাপটকে কাজে লাগিয়ে আরও সক্রিয় হচ্ছে।